আগরতলা, ১৬ নভেম্বর:
ত্রিপুরা অনিয়মিত কর্মচারী মঞ্চের উদ্যোগে রবিবার আগরতলা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে বরিষ্ঠ আইনজীবী ও সংগঠনের আহ্বায়ক পুরুষোত্তম রায় বর্মন মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন। উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক রতন দেবনাথ, মৃন্ময় চক্রবর্তী, কৌশিক নাথসহ অন্যান্য সদস্যরা।
সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তারা অভিযোগ করেন, রাজ্যের অনিয়মিত কর্মচারীদের ন্যায্য দাবিদাওয়া নিয়ে সরকারের নীরবতা গণতান্ত্রিক পরিবেশে অনাকাঙ্ক্ষিত ও উদ্বেগজনক। উল্লেখ্য, গত ৪ জুলাই সংগঠনের পক্ষ থেকে ঐতিহাসিক মহাকরণ অভিযান অনুষ্ঠিত হয় এবং মুখ্যসচিবের নিকট ৮ দফা দাবি পেশ করা হয়। সেইদিন মুখ্যসচিব দাবিগুলির প্রতি সহমত পোষণ করে উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দিলেও, চার মাস অতিক্রান্ত হলেও কোনো প্রকার অগ্রগতি দেখা যায়নি বলে অভিযোগ সংগঠনের।
এছাড়াও, বিধানসভা অধিবেশনে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য অনিয়মিত কর্মচারীদের আরও হতাশ করেছে বলে মন্তব্য করেন সংগঠনের নেতারা। গত ১৮ সেপ্টেম্বর পুনরায় একটি রিমাইন্ডার পাঠিয়ে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় পুনরায় আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সংগঠনের কার্যকর্তাদের তরফে জানানো হয়, দীর্ঘ বঞ্চনা ও মুখ্যসচিবের আশ্বাস ভঙ্গের প্রতিবাদে আগামী ডিসেম্বর মাসে দুই দফায় গণবস্থান কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে—১৪ ডিসেম্বর উদয়পুরে এবং ২১ ডিসেম্বর ধর্মনগরে। রাজ্যবাসীর কাছে অনিয়মিত কর্মচারীদের বঞ্চনার ইতিহাস তুলে ধরা হবে হ্যান্ডবিলের মাধ্যমে। এরপরও যদি সরকার সাড়া না দেয়, তবে জানুয়ারি মাসে আগরতলায় বৃহৎ কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয়, ষোড়শ অর্থ কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়ে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হলেও, সরকার অনিয়মিত কর্মচারীদের সমস্যা সমাধান করে কমিটেড এক্সপেনডিচারে যুক্ত করার সুযোগ গ্রহণ করেনি। তাদের অভিযোগ, এই সমস্যা জিইয়ে রাখার মধ্যেই সরকারের অবস্থান স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, যা রাজ্যের ভাবমূর্তির জন্য ক্ষতিকর।

