আগরতলা, ১৬ নভেম্বর: পুনরায় পুরাতন আগরতলাস্হিত পেট্রোল পাম্প চালু করার অনুমতি দিয়েছে জেলা প্রশাসন। উচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপে ২৪.১০.২৫ তারিখের নির্দেশ খারিজ করা হয়েছে। পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের দপ্তর থেকে জারি করা নির্দেশ অনুসারে পুনরায় আগরতলার পুরাতন মোটর স্ট্যান্ডে অবস্থিত এমএস বিশ্বাস অ্যান্ড সন্স পেট্রোল পাম্প পুনরায় চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে জাগরণ ত্রিপুরা.কম – এ একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে এই পেট্রোল পাম্পটি বন্ধ করার নির্দেশ সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়েছিল। কিন্তু এই বিষয়ে আরো বিশদে খোঁজ নিতেই কিছু সময়ের মধ্যেই যাবতীয় তথ্য উঠে আসে।
জানা গেছে, গত ৭.১০.২৫ তারিখে উচ্চআদালত রিট পিটিশন চলাকালীন ‘অনাপত্তি পত্র’ বাতিল করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। কিন্তু উচ্চ আদালতের নির্দেশকে অমান্য করে ২৪.১০.২০২৫ তারিখে ওই পেট্রোল পাম্পটি বন্ধ করে সিল করে দেয় সদর মহকুমা প্রশাসন। তাই উচ্চ আদালতে এমএস বিশ্বাস এ্যান্ড সন্স – এর পক্ষের আইনজীবী জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশ অবমাননার অভিযোগ আনে।
উভয়পক্ষের বিস্তারিত যুক্তি শোনার পর ১৩.১১.২৫ তারিখে উচ্চ আদালত আদালতের নির্দেশ অবমাননার জন্য জেলা প্রশাসনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। পাশাপাশি দুহাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছে। এবং ২৪.১০. ২৫ তারিখের নির্দেশকে ভিত্তিহীন বলে খারিজ করেছে।
জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে ওই পেট্রোল পাম্পটি বন্ধ করে সিল করে দিয়েছিল সদর মহকুমা প্রশাসন। তবে আদালতের নির্দেশে ওই আদেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
আদালতের নির্দেশে ১৫ নভেম্বর ২০২৫ অর্থাৎ গতকাল শনিবারের একটি বিজ্ঞপ্তিতে এই আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, সদর মহকুমার সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে এবং পেট্রোল পাম্পের ডিলারের উপস্থিতিতে সমস্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ মেনে পাম্পটি অবিলম্বে খুলে দিতে হবে।
উল্লেখ্য, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযোগ ছিল অগ্নি–নিরাপত্তা লঙ্ঘন করা হয়েছে এই পাম্পে। পাম্পটিতে CO₂ ফায়ার এক্সটিংগুইশার (৪.৫ কেজি) ইলেকট্রিক প্যানেল বোর্ডের কাছে বসানো ছিল না, অফিসরুম ও স্টোররুমে ৬ কেজি ক্ষমতার ডিপি ফায়ার এক্সটিংগুইশার বাধ্যতামূলক হলেও তা পাওয়া যায়নি, ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ ১৬ অক্টোবরের স্থলপরিদর্শনে গুরুতর অগ্নি–নিরাপত্তা ঘাটতি চিহ্নিত করে। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, এসব ত্রুটি যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে।

