রাঁচি, ১৫ নভেম্বর: প্রতিবছরের মতো এবছরও ১৫ নভেম্বর সারা রাজ্যজুড়ে পালন করা হচ্ছে ঝাড়খণ্ডের প্রতিষ্ঠা দিবস। ২০০০ সালে বিহার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গঠিত এই রাজ্য আজ তার ২৫তম বর্ষে পদার্পণ করল। এই উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতারা ঝাড়খণ্ডবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক্স–এ নিজের বার্তায় লিখেছেন, “প্রাকৃতিক সম্পদ ও জনজাতীয় ঐতিহ্যের পবিত্র ভূমি ঝাড়খণ্ডের প্রতিষ্ঠা দিবসে রাজ্যবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা। স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে জাতীয় স্বাভিমান রক্ষার প্রতিটি ক্ষেত্রে ঝাড়খণ্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বাবা বৈদ্যনাথের কাছে প্রার্থনা করি—রাজ্যবাসীর উন্নতি অব্যাহত থাকুক।”
লোকসভার স্পিকার ওম বিরলা লিখেছেন, “প্রাকৃতিক বৈভব, খনিজ সম্পদ ও অনন্য সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যে ভরপুর ঝাড়খণ্ডের প্রতিষ্ঠা দিবসে সকলকে শুভেচ্ছা। এই ভূমি সাহস, কর্মনিষ্ঠা ও আদিবাসী গৌরবের প্রতীক। রাজ্য যেন উন্নয়নের নতুন উচ্চতা স্পর্শ করে, নাগরিকদের জীবন আরও শান্ত, সমৃদ্ধ ও সুখময় হয়।”
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান লিখেছেন, “অদ্বিতীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর, সমৃদ্ধ লোক–ঐতিহ্যে অলঙ্কৃত ও খনিজ সম্পদে পরিপূর্ণ বিরসা মুন্ডার পবিত্র ধরা—ঝাড়খণ্ডের প্রতিষ্ঠা দিবসে সকলকে শুভেচ্ছা। রাজ্য উন্নয়নের পথে আরও গতিময় হোক, মানুষের জীবনে সুখ–সমৃদ্ধি বাড়ুক।”
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব লিখেছেন, “সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ ঝাড়খণ্ডের প্রতিষ্ঠা দিবসে আন্তরিক শুভেচ্ছা। রাজ্যের মানুষের জীবনে আরও সমৃদ্ধি ও কল্যাণ বৃদ্ধি পাক—এই কামনা।”
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বার্তায় লিখেছেন, “বিরসা মুন্ডার পুণ্যভূমি, অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে ভরপুর ঝাড়খণ্ডের প্রতিষ্ঠা দিবসে সকলকে শুভেচ্ছা। রাজ্য উন্নয়ন, জনকল্যাণ ও সমৃদ্ধির পথে আরও এগিয়ে যাক—বাবা বৈদ্যনাথের কাছে এই প্রার্থনা।”
উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মউর্য লিখেছেন, “অসীম প্রাকৃতিক সম্পদ এবং সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে সজ্জিত ঝাড়খণ্ডের প্রতিষ্ঠা দিবসে রাজ্যবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা। ঝাড়খণ্ড উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথে নিরন্তর এগিয়ে যাক—এই কামনা।”
২৫তম প্রতিষ্ঠা দিবসে শুভেচ্ছায় ভরে উঠেছে ঝাড়খণ্ড, আর গোটা রাজ্য উদযাপনে মুখর।

