সাতসকালে কৈলাসহরে পরিতোষ শীলের বাড়িতে হানা এনআইএ আধিকারিকদের, মোবাইল ফোন জব্দ, ২০ নভেম্বর আমেদাবাদে তলব পরিতোষকে

কৈলাসহর, ১২ নভেম্বর: বুধবার ভোরবেলা কৈলাসহরে পরিতোষ শীলের বাড়িতে হানা দেয় এনআইএ। এই খবর চাউর হতেই গোটা ঊনকোটি জেলায় তীব্র চাঞ্চল্য বিরাজ করছে। তবে, এব্যাপারে কৈলাসহর থানার পুলিশ কোনো ধরনের মন্তব্য করতে নারাজ।

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে যে, কৈলাসহরের চন্ডীপুর ব্লকের অধীনস্হ ধনবিলাশ গ্রাম পঞ্চায়েতের তিন নং ওয়ার্ডের ভাগ্যপুর গ্রামের বাসিন্দা পরিতোষ শীলের বাড়িতে ভোর ৫টা নাগাদ কৈলাসহর থানার এসআই দেবব্রত শীল সহ চারজন টিএসআর জওয়ান এবং একজন মহিলা কনস্টেবল সহ পাঁচজনের এনআইএ-এর আধিকারিকরা যায়। সেসময় পরিতোষ শীল সহ বাড়ির অন্যান্য সকল সদস্যরা ঘুমে ছিলেন। পুলিশ পরিতোষ শীলকে ডেকে ঘুম থেকে উঠায় এবং পরবর্তী সময়ে এনআইএ-এর আধিকারিকরা তাদের পরিচয় পত্র দেখান। প্রথমেই এনআইএ-এর আধিকারিকরা পরিতোষ শীলের ঘর তল্লাশী করে এবং তল্লাশী করে কিছুই পায়নি। পরিতোষের সমস্ত কাগজ পত্রও তল্লাশী করেছেন আধিকারিকরা।

পরবর্তী সময়ে এনআইএ-এর আধিকারিকরা পরিতোষ শীলকে টানা সাড়ে তিন ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এবং পরিতোষের নিজের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেন আধিকারিকরা। এব্যাপারে পরিতোষ শীল সংবাদ প্রতিনিধিদের জানায় যে, এনআইএ-এর আধিকারিকরা রহিম আলী নামে এক যুবকের ছবি দেখিয়ে বলে রহিমকে চেনে কিনা? উত্তরে পরিতোষ জানায় যে, রহিমকে কোনো দিন দেখেনি এবং রহিমকে চেনে না। এনআইএ-এর আধিকারিকরা এও জানান যে, পরিতোষের মোবাইল থেকে মোট তেরো বার রহিমকে ফোন করা হয়েছিলো। এই প্রশ্নের উত্তরে পরিতোষ জানায় যে, সে কোনো দিন রহিম নামে কাউকে ফোন করে নি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এনআইএ-এর আধিকারিকরা পরিতোষ শীলকে গ্রেফতার না করলেও পরিতোষকে আগামী ২০ নভেম্বর গুজরাটের আহমেদাবাদের এনআইএ-এর অফিসে হাজিরা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

গ্রামবাসী সূত্রে অভিযোগ, পরিতোষ শীল বিভিন্ন মানুষের আন্তর্জাতিক পাসপোর্ট বের করার কাজে যুক্ত ছিলো। যদিও বিগত দুই বছর ধরে পরিতোষ এই কাজ বন্ধ করে দিয়েছেবলে খবর। পরিতোষের কৈলাসহর শহরের গোবিন্দপুর এলাকায় নিজের একটি সেলুন রয়েছে এবং সেই সেলুনেই পরিতোষ কাজ করে। এনআইএ-এর আধিকারিকদের আগমনে গোটা কৈলাসহরে তীব্র চাঞ্চল্য বিরাজ করছে। পরিতোষ শীলের বাড়ি থেকে বের হয়ে ঊনকোটি জেলার কুমারঘাটের রানা পালের বাড়িতে হানা দেয় এনআইএ-এর আধিকারিকরা।