সবরিমালায় রাসায়নিক কুমকুম ও শ্যাম্পুর প্লাস্টিক প্যাকেট বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা কেরালা হাইকোর্টের

কোচি, ৭ নভেম্বর : সবরিমালায় রাসায়নিক কুমকুম ও শ্যাম্পুর প্লাস্টিক প্যাকেট বিক্রিতে অবিলম্বে নিষেধাজ্ঞা জারি করার নির্দেশ দিয়েছে কেরালা হাইকোর্ট। আদালত পরিবেশ দূষণের আশঙ্কা ও তীর্থযাত্রা মৌসুমে বাড়তি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করে এই নির্দেশ দিয়েছে।

শুক্রবার বিচারপতি রাজা বিজয়ারঘবন ও কে.ভি. জয়কুমারের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এটি আদালতের স্বপ্রণোদিতভাবে গৃহীত একটি মামলার শুনানিতে আসে, যা ২০২৫–২৬ সালের মণ্ডলম–মকরভিলাক্কু তীর্থ মৌসুমে ‘এদাথাভালম’ (তীর্থযাত্রীদের বিশ্রামকেন্দ্র) সংক্রান্ত বিশেষ কমিশনারের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে নেওয়া হয়েছিল।

আদালত স্মরণ করিয়ে দেয়, গত ১৬ অক্টোবরের নির্দেশে তিরুবাঙ্কুর দেবস্বম বোর্ড (টিডিবি), ভারতীয় রেলওয়ে ও কোট্টায়ম জেলা পর্যটন প্রচার কাউন্সিলকে পরিচ্ছন্নতা, খাদ্য ও পানীয় জলের মান বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তখন আদালত উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল, তীর্থযাত্রীরা শ্যাম্পুর প্লাস্টিকের প্যাকেট ব্যবহার করে সেগুলি এরুমেলির ঝর্ণা ও নদীর ধারে ফেলে দিচ্ছেন, যার ফলে জলদূষণ বাড়ছে। আদালত কোট্টায়ম জেলা প্রশাসনকে ওই এলাকায় প্লাস্টিক স্যাশে নিষিদ্ধ করার নির্দেশও দিয়েছিল।

তবে শুক্রবার মামলার পুনর্বিবেচনার সময় এরুমেলি গ্রামপঞ্চায়েতের আইনজীবী জানান, এখনো পর্যন্ত ভালিয়াথোড়ু ঝর্ণায় শ্যাম্পুর প্যাকেট ও অন্যান্য প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, পেট্টাথুল্লাল আচার অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত রাসায়নিক কুমকুমও দূষণের অন্যতম কারণ, কারণ অংশগ্রহণকারীরা পরবর্তীতে ডিটারজেন্ট ও শ্যাম্পু দিয়ে তা ধুয়ে ফেলেন।

এই তথ্য বিবেচনা করে আদালত পাম্বা ও সন্নিধানম এলাকায় রাসায়নিক কুমকুম ও শ্যাম্পুর প্লাস্টিকের প্যাকেট বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দেয়। এছাড়া আদালত টিডিবিকে নির্দেশ দেয়, ঝর্ণা ও জলধারার উপর জাল বা ক্ষুদ্র বাঁধ (চেক ড্যাম) স্থাপনের সম্ভাবনা পরীক্ষা করতে, যাতে বর্জ্য জমা রোধ করা যায়। কোচিন ও গুরুয়ূর দেবস্বম বোর্ড এবং চেঙ্গান্নুর পৌরসভা আদালতকে জানায় যে, আগের নির্দেশ মেনে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সব পক্ষের বক্তব্য নথিভুক্ত করে আদালত মামলাটি আগামী সপ্তাহে পুনরায় শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত করেছে। আদালতের এই নির্দেশ সাবরিমালার পরিবেশ রক্ষায় এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।