আগরতলা, ৩০ অক্টোবর: দুর্গাপূজা ও কালীপূজার পর কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের নবমী তিথিতে অনুষ্ঠিত হয় দেবী জগদ্ধাত্রীর আরাধনা। ঐতিহ্য মেনে এদিন সারা রাজ্যজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হচ্ছে জগদ্ধাত্রী পূজা।
চন্দননগরের মতোই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তিন দিনব্যাপী মহাধুমধামে চলছে এই পূজা। তবে উত্তর–পূর্বাঞ্চলের বেশ কয়েকটি স্থানে একই দিনে সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী ও দশমীর পূজা সম্পন্ন হচ্ছে। এ বছর বৃহস্পতিবার পড়েছে নবমীর তিথি। ফলে আজ সর্বত্র পূজিত হচ্ছেন মা জগদ্ধাত্রী— যিনি ‘জগতের ধাত্রী’ বা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের ধারণকর্ত্রী রূপে পূজিতা হন।
আগরতলার ওমা মহেশ্বর মন্দির, ফায়ার সার্ভিস প্রাঙ্গণ এবং ত্রিনয়নী সামাজিক সংস্থা সহ একাধিক স্থানে সকাল থেকেই শুরু হয়েছে জগদ্ধাত্রী পূজার আচার–অনুষ্ঠান। রাজধানীর আনন্দময়ী কালীবাড়িতেও চলছে দেবীর আরাধনা। পূজাকে ঘিরে ভক্তদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও ভক্তিভাব লক্ষ্য করা গেছে।
অগ্রহায়ণ মাসের শুক্লা নবমী তিথিতে রাজধানীর উমা মহেশ্বরী তথা মা আনন্দময়ী আশ্রমে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাৎসরিক জগদ্ধাত্রী পূজা। ভোর থেকেই মন্দির প্রাঙ্গণে ভক্তদের ভিড় উপচে পড়েছে। দেবী জগদ্ধাত্রী, যিনি শক্তির প্রতীক, তাঁর চরণে প্রণাম জানাতে আজ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ভক্তদের সমাগমে ভরে উঠেছে আগরতলা শহর।
ভক্তদের বিশ্বাস, মা জগদ্ধাত্রীর পূজায় অংশগ্রহণ করলে জীবনে শান্তি, সমৃদ্ধি ও সাহসের সঞ্চার ঘটে। পূজা উপলক্ষে শহরের বিভিন্ন স্থানে আলোকসজ্জা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনও করা হয়েছে।

