মিজোরাম, ২৭ অক্টোবর: অসম রাইফেলস মিজোরামের চাম্পাই জেলার স্যাকুম্ফই এলাকায় এক বৃহত্তম অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং যুদ্ধের উপকরণ উদ্ধার করেছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্রে জানা গেছে, ২৪ অক্টোবর এই অভিযানটি পরিচালিত হয়, যখন নিরাপত্তা বাহিনী একটি সন্দেহজনক কার্যকলাপের সম্পর্কে তথ্য পেয়ে স্যাকুম্ফই এলাকায় একটি তল্লাশি অভিযান শুরু করে।
এ এই অভিযানে উদ্ধার করা হয় ৬টি ৬০ মিমি মর্টার টিউব (বেস প্লেটসহ), ২টি মিয়ানমার তৈরি ৭.৬২ মিমি আসল্ট রাইফেল, ৩টি শটগান, ২টি .২২ রাইফেল, ১টি হাতবোমা, ৪০টি ৭.৬২ মিমি গোলাবারুদের রাউন্ড, ১৫টি ৬০ মিমি মর্টার রাউন্ড, ২টি মাইন, ২টি রেডিও সেট এবং ১টি চার্জার। অসম রাইফেলসের এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “আমরা সীমান্তে সর্বদা নজর রাখছি এবং এই ধরনের অবৈধ কার্যকলাপ প্রতিরোধে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
এই অভিযানটি সঠিক সময়ে সম্পন্ন হওয়ার কারণে, নিরাপত্তা বাহিনী প্রায় এক বৃহৎ অবৈধ অস্ত্রের চালান আটক করতে সক্ষম হয়েছে, যা মিজোরাম-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকায় অবৈধভাবে আনা হচ্ছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। স্যাকুম্ফই, যেটি মিয়ানমার সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত, সেখানে এই বিপজ্জনক সামগ্রী গোপনভাবে রাখা হয়েছিল।
তল্লাশি অভিযানে উদ্ধার হওয়া সামগ্রীর মধ্যে ছিল ৬টি ৬০ মিমি মর্টার টিউব, যার মধ্যে বেস প্লেটও অন্তর্ভুক্ত ছিল, ২টি মিয়ানমার তৈরি ৭.৬২ মিমি আসল্ট রাইফেল, ৩টি শটগান, ২টি .২২ রাইফেল, ১টি হাতবোমা, ৪০টি ৭.৬২ মিমি গোলাবারুদের রাউন্ড, ১৫টি ৬০ মিমি মর্টার রাউন্ড, ২টি মাইন, ২টি রেডিও সেট এবং ১টি চার্জার। এই বিপজ্জনক সামগ্রীগুলি মিজোরামের স্যাকুম্ফই এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, যা অবৈধ অস্ত্র পাচারের একটি বড় চক্রের ইঙ্গিত দেয়।
এই উদ্ধারকৃত সামগ্রীর মধ্যে কিছু অত্যন্ত বিপজ্জনক অস্ত্রও রয়েছে, যা স্থানীয় নিরাপত্তা পরিস্থিতির জন্য হুমকি সৃষ্টি করতে পারে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অস্ত্র ও গোলাবারুদগুলির ফরেনসিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে এই অবৈধ পাচার চক্র সম্পর্কে আরো বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।
এই অভিযানের পর, স্থানীয় জনগণও সজাগ হয়েছে এবং এই ধরনের পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশকে অনুরোধ জানিয়েছে। স্থানীয়দের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে, কারণ এই ধরনের অস্ত্র পাচার স্থানীয় শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি হতে পারে। সুতরাং, পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা কামনা করছে, যাতে এই ধরনের কার্যকলাপ আরও বাড়তে না পারে।
এই উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ এখন চাম্পাই জেলার ডুংতলাং পুলিশ থানায় পাঠানো হয়েছে, যেখানে এগুলির ফরেনসিক বিশ্লেষণ করা হবে। পুলিশ জানিয়েছে যে তারা এই সামগ্রীগুলির উদ্দেশ্য এবং এগুলির সঙ্গে জড়িত অপরাধী চক্রের খোঁজে গভীর তদন্ত চালিয়ে যাবে। স্যাকুম্ফই এলাকা মিয়ানমার সীমান্তের কাছে অবস্থিত হওয়ার কারণে, অনুমান করা হচ্ছে যে এগুলি অবৈধ পথে মিয়ানমার থেকে আনা হয়েছে।
অসম রাইফেলস এবং মিজোরাম পুলিশ যৌথভাবে এই অভিযান চালিয়ে এলাকায় অবৈধ অস্ত্র পাচারের বিরুদ্ধে একটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। স্থানীয় জনগণ আশা করছে যে এই অভিযানগুলি অব্যাহত থাকবে এবং যে কোনও ধরনের অবৈধ কার্যকলাপ দ্রুত বন্ধ করা হবে।
এই অভিযান মিজোরামের সীমান্তবর্তী এলাকায় অবৈধ অস্ত্র পাচার এবং তাতে জড়িত অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা যাচ্ছে। এটি স্থানীয় নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি করতে সাহায্য করবে এবং মিজোরাম পুলিশ ও অসম রাইফেলসের যৌথ প্রচেষ্টা আরও শক্তিশালী হবে।

