নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৬ অক্টোবর:
শারদীয় দূর্গা উৎসবকে কেন্দ্র করে বর্তমানে রাজ্যর কৃষ্টি সংস্কৃতির পাশাপাশি আর্থিক বিকাশ ঘটেছে। রাজ্য সরকার রাজ্যের সর্বাঙ্গীন উন্নয়নের দিকে নজর দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। আজ রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে হেডলাইনস ত্রিপুরা ন্যাশনালের উদ্যোগে শারদসম্মান প্রদান অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ও প্রধান অতিথির ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী প্রফের (ডা) মানিক সাহা একথা বলেন।
তিনি বলেন, রাজ্য সরকার শান্তি সম্প্রীতির বন্ধনকে আরও শক্তিশালী করে রাজ্যকে উন্নয়নের উচ্চ শিখরে নিয়ে যেতে চায়। বিভিন্ন সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে মিডিয়াগুলির নিজেদের মধ্যে একটা সুন্দর প্রতিযোগিতা থাকা দরকার। সবাইকে এ আই প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে আরও দক্ষ হতে হবে। এ আই ব্যবহারের ক্ষেত্রে তার বিভিন্ন নেগেটিভগুলি সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে প্রতিটি কাজের ক্ষেত্রেই পরিশ্রমের কোন বিকল্প নেই। প্রত্যেককেই যার যার নিজের ক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধির মধ্যদিয়ে নিজেদের সঠিক ভাবে প্রস্তুত করতে হবে।
তিনি বলেন, রাজ্যের ক্লাব ও বিভিন্ন সামাজিক সংস্থাগুলি জনসেবামূলক কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক বিধি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এগিয়ে এসেছে। যা অতীতে দেখা যেতনা। তবে মিডিয়ায় খবর প্রকাশের ক্ষেত্রে আরও সচেতন হবার দরকার।
তিনি বলেন, সরকার বিভিন্ন ক্লাব ও সংস্থাগুলির প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে তাদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে। দূর্গা পূজার পাশাপাশি কার্নিভাল অনুষ্ঠান রাজা ব্যাপী উৎসবে পরিনতি হয়েছে। অতীতে আগরতলার দশমীঘাটে অব্যবস্থা ছিল। আজ দশমীঘাটে সরকারী ভাবে অত্যাধুনিক নানা ব্যবস্থা করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের নীতি আয়োগ রাজোর উন্নয়নের অগ্রগতির নিরিখে ত্রিপুরাকে ফ্রন্ট রানার স্টেট হিসেবে ঘোষণা করেছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার সঠিক পথের মাধ্যমে রাজ্যকে পরিচালিত করে উন্নয়নের উচ্চ শিখরে নিয়ে যেতে বদ্ধ পরিকর। সম্মানিত অতিথি হিসেবে সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য বলেন, সরকার উন্নয়ন কর্মযজ্ঞের মধ্যদিয়ে রাজ্যকে এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরায় পরিনত করতে চায়। উন্নয়নের স্বার্থে রাজ্যের প্রতিটি মানুষকে ঐক্য বদ্ধ থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে রাজ্যের কৃষি ও বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতনলাল নাথ, পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, আগরতলার পুর নিগমের মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার, দৈনিক সংবাদের বার্তা সম্পাদক সঞ্জয় পাল, বিশিষ্ট আইনজীবি পীযুষ কান্তি বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। তাছাড়া ভাষণ রাখেন বন্ধন ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান চন্দ্র শেখর ঘোষ, বিবেক নগর রামকৃষ্ণ মিশনের মহরাজ স্বামী শুভকামানন্দজি। স্বাগত ভাষণ রাখেন হেডলাইনস ত্রিপুরা ন্যাশনালের কর্ণধার প্রনব সরকার। ধন্যবাদসূচক ভাষণ রাখেন হেডলাইনস ত্রিপুরা ন্যাশনালের কলকাতা শাখার প্রধান হৃতিক মুখার্জী। শারদসম্মান অনুষ্ঠানে রাজ্য ও কলকাতা থেকে আগত শিল্পীদের দ্বারা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। রাজ্য ও রাজ্যের বাইরের সহ মোট ৫২টি ক্লাব ও সামাজিক সংস্থাকে শারদসম্মান প্রদান করা হয়।

