আগরতলা, ২৪ অক্টোবর:
তিন দিনের শিশুর শরীরে জটিল অস্ত্রপচার করলেন শিশু শল্য চিকিৎসক ডক্টর অনিরুদ্ধ বসাক। বর্তমানে শিশুটি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক এবং সুস্থ রয়েছে। চিকিৎসকের সাহায্যে স্বস্তি খুঁজে পেয়েছেন নবজাতকের পিতা-মাতা।
জানা যায়, গত ১৫/১০/২০২৫ একটি বেসরকারি হাসপাতালে সিজারের মাধ্যমে কলমক্ষেত উরমাই সোনামুড়া এলাকার বাসিন্দা, মমতা দাস এবং সহদেব দাসের এক ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। জন্মের পর শিশুটিকে মায়ের কাছে দুধ খেতে দিলে দেখা যায় দুধ খেতে গেলেই শিশুটির প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। শিশুটির অবস্থা বেগতিক দেখে চিকিৎসকরা তাকে জিবি হাসপাতালে রেফার করে। গত ১৫/১০/২৫ তারিখ দুপুরে জিবি হাসপাতালে শিশুটিকে ভর্তি করা হয়। কিন্তু দুদিন ধরে চিকিৎসা চললেও শিশুটি চিকিৎসায় সাড়া না দেওয়ায় টিএমসি হাসপাতালে রেফার করা হয়। শিশু শল্য চিকিৎসক ডক্টর অনুরুদ্ধ বসাক গত ১৭/১০/২০২৫ তারিখে শিশুকন্যাটিকে হাসপাতালে ভর্তি রাখেন। সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দেখা যায় শিশুকন্যাটি জটিল এবং বিরল রোগে আক্রান্ত। ডাক্তারি ভাষায় বলা হয় ‘বকডেলেক হারনিয়া’। এ অবস্থায় জন্মগতভাবে শিশুটির পেটের সব নাড়িভুড়ি বাঁ দিকের বুকে থাকে। যার ফলে বাঁদিকের ফুসফুস অচল হয়ে পড়ে। এর কারণে অতিরিক্ত শ্বাসকষ্ট হতে থাকে। জরুরী পরিস্থিতিতে শিশুটির অস্ত্রোপচার না করলে শিশুটিকে বাঁচানো সম্ভব হবে না।
পরিস্থিতি বিবেচনা করে তড়িঘড়ি গত ১৮-১০-২০২৫ তারিখে প্রায় দু ঘণ্টার অস্ত্রোপচার করেন ডক্টর অনিরুদ্ধ বসাক। বাঁ দিকের ফুসফুসে থাকা সকল নারী ভুরি তিনি পেটের মধ্যে নিয়ে আসেন। দু’ঘণ্টার অপারেশনের পর সবকিছু স্বাভাবিক করে তুললেন শিশুশল্য বিশেষজ্ঞ ডক্টর অনিরুদ্ধ বসাক। বর্তমানে শিশু কন্যাটি সম্পূর্ণ সুস্থ এবং নিরাপদ রয়েছে।

