দেশীয় প্রতিরক্ষা উৎপাদনে আর এক ধাপ অগ্রগতি, নাসিক থেকে প্রথম ‘তেজস এলসিএ এমকে ১এ’ উন্মোচন করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং

নাসিক, ১৭ অক্টোবর: ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং আজ হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড -এর নাসিক ইউনিট থেকে তৈরি হওয়া প্রথম তেজস এলসিএ এমকে ১এ যুদ্ধবিমান আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করেন। একই অনুষ্ঠানে তিনি এইচটিটি-৪০ প্রশিক্ষণ বিমান তৈরির দ্বিতীয় উৎপাদন লাইনও উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, সুখোই-৩০, এলসিএ তেজস ও এইচটিটি-৪০ এই তিনটি বিমান নাসিক ইউনিটে তৈরি হওয়া মানে দেশের আত্মনির্ভরতার আকাশে উড্ডয়ন। তিনি জানান, ২০১৪ সালের আগে দেশের প্রায় ৬৫-৭০ শতাংশ প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানি করতে হতো, কিন্তু বর্তমানে প্রায় ৬৫ শতাংশ দেশেই উৎপাদিত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, তেজস এলসিএ এমকে ১এ যুদ্ধবিমানের প্রথম সফল উড্ডয়ন ভারতীয় প্রতিরক্ষা উৎপাদনে এক ঐতিহাসিক মাইলফলক। এই উপলক্ষে প্রতিরক্ষামন্ত্রী নিজেও বিমানটির প্রথম উড্ডয়ন প্রত্যক্ষ করেন এবং এইচএএল-কে দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ছয় দশক ধরে অব্যাহত অবদানের জন্য প্রশংসা করেন।

তেজস এমকে ১এ হল একটি উন্নত মানের ৪.৫-জেনারেশন মাল্টি-রোল ফাইটার জেট, যা ভারতীয় বায়ুসেনার মিগ-২১ বিমানের জায়গা নেবে। এতে উন্নতমানের কমব্যাট অ্যাভিওনিক্স, এয়ার-টু-এয়ার রিফুয়েলিং ক্ষমতা, এবং উচ্চতর মিশন ফ্লেক্সিবিলিটি রয়েছে। এই যুদ্ধবিমানটি বায়ুসীমা সুরক্ষা, স্থল আক্রমণ ও সমুদ্রভিত্তিক স্ট্রাইক মিশনের উপযোগীভাবে তৈরি করা হয়েছে।

তেজস এমকে ১এ-তে বিভিন্ন প্রকারের অস্ত্র ও সেন্সর প্যাকেজ সংযোজন করা হয়েছে যা একে একটি বহুমুখী যুদ্ধবিমান হিসেবে প্রতিস্থাপন করবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভারতীয় বায়ুসেনা ও প্রতিরক্ষা উৎপাদন খাতে দেশের আত্মনির্ভরতা আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।