নয়াদিল্লি, ৮ অক্টোবর : কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান মঙ্গলবার নয়াদিল্লির কৃষি ভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি (পিএম-কিষান) প্রকল্পের ২১তম কিস্তি আগাম জারি করেন। এই কিস্তির আওতায় প্রায় ৮.৫৫ লক্ষ কৃষকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরাসরি ১৭১ কোটি টাকা স্থানান্তর করা হয়েছে, যার মধ্যে ৮৫,৪১৮ জন মহিলা কৃষকও অন্তর্ভুক্ত। জম্মু ও কাশ্মীরের কৃষকরা এ পর্যন্ত এই প্রকল্পের আওতায় মোট ৪,০৫২ কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা পেয়েছেন।
মন্ত্রী জানান, রাজ্য সরকার থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে প্রায় ৫,১০০টি বাড়ি বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এইসব পরিবারের পুনর্নির্মাণের জন্য কেন্দ্রীয় গ্রামীণ উন্নয়ন মন্ত্রক প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (পিএমএওয়াই)-এর আওতায় ৮৫.৬২ কোটি টাকার বিশেষ অনুদান অনুমোদন করেছে। এতে মূল সহায়তার পাশাপাশি শৌচাগার নির্মাণ ও মনরেগা (এমজিএনআরইজি)-এর মাধ্যমে অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করা হবে, যাতে ক্ষতিগ্রস্তরা নিজেদের ঘর পুনর্গঠন করতে পারেন। এছাড়া, রাজ্য থেকে প্রস্তাব পাওয়া গেলে মনরেগা কর্মীদের জন্য ১০০ দিনের পরিবর্তে ১৫০ দিনের মজুরি প্রদানের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে, যা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে অতিরিক্ত জীবিকা সহায়তা দেবে।
শিবরাজ সিং চৌহান বলেন, বন্যা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত জম্মু ও কাশ্মীরের কৃষকদের পাশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্র সরকার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তিনি জানান, পিএম-কিষানের এই আগাম কিস্তি কৃষকদের জন্য বড় স্বস্তি, যার মাধ্যমে তারা বীজ, সার ও অন্যান্য কৃষি প্রয়োজন মেটাতে পারবেন। কেন্দ্র সরকার বিভিন্ন প্রকল্প ও সহায়তা কর্মসূচির মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও প্রয়োজন অনুযায়ী সহায়তা দেওয়া হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, কৃষি পুনরুদ্ধারের জন্য কেন্দ্র সরকার বীজ, সার ও প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহে প্রস্তুত। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে “যার জমি, তার বালি” নীতির আওতায় বালু বিক্রির অনুমতি দিয়েছে। পাশাপাশি, রাজ্য থেকে প্রস্তাব পাওয়া গেলে এনডিআরএফ (জাতীয় বিপর্যয় ত্রাণ তহবিল) থেকেও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। শিবরাজ সিং চৌহান জানান, প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনার অধীনে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য ক্ষতিপূরণের অর্থ সরাসরি তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করার ব্যবস্থা করা হবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, কেন্দ্র সরকার কোনো কৃষককে এই সংকটময় সময়ে একা ছেড়ে দেবে না, বরং পুনর্গঠন, জীবিকা এবং কৃষি উৎপাদন পুনরায় শুরু করতে প্রতিটি পদক্ষেপে পাশে থাকবে।
2025-10-08

