লখনউ, ৭ অক্টোবর: উত্তরপ্রদেশে বাল্মীকি জয়ন্তী উপলক্ষে রাজ্যজুড়ে জোরদার রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আসন্ন নির্বাচনের প্রেক্ষিতে দলিত ভোটব্যাংককে টার্গেট করে শাসক দল বিজেপি ও প্রধান বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টি উভয়েই ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
রাজ্য সরকার বাল্মীকি জয়ন্তী উপলক্ষে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে। সব জেলা প্রশাসনকে মহর্ষি বাল্মীকির শিক্ষা ও আদর্শ তুলে ধরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লখনউয়ের ঐতিহাসিক বিক্রমপুরী বাল্মীকি মন্দিরে কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যেখানে মন্ত্রীরা, দলীয় নেতারা এবং সাধারণ মানুষ উপস্থিত থাকবেন। মূল কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে পূজা, শ্রদ্ধাঞ্জলি, এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও বাইক র্যালি।
বিজেপি এই উৎসবকে কেন্দ্র করে বাল্মীকি সম্প্রদায়ের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করতে চায়। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনের আগে দলিত সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করাই মূল লক্ষ্য। বাইক র্যালি এবং এলাকাভিত্তিক অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে উপস্থিতি বাড়িয়ে জনসম্পৃক্ততা নিশ্চিত করতে চাইছে বিজেপি।
সমাজবাদী পার্টিও দলিতদের মধ্যে নিজেদের উপস্থিতি শক্তিশালী করতে মরিয়া। দলটি রাজ্যজুড়ে দলিত-অধ্যুষিত এলাকায় বড় জমায়েত ও সাংগঠনিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। দলীয় নেতাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে বাল্মীকি জয়ন্তী উপলক্ষে প্রতিটি বুথ স্তরে কর্মী সক্রিয় করা যায় এবং ভোটার সংযোগ জোরদার হয়।
এসপি নেতারা জানিয়েছেন, “দলিত বস্তিগুলিতে (বস্তি) ব্যাপক প্রচার এবং জনসম্পর্ক অভিযান চালানো হবে যাতে বাল্মীকি মহর্ষির অবদান সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি পায় এবং দলিতদের সমস্যা নিয়ে সরাসরি আলোচনা সম্ভব হয়।”
সমাজবাদী পার্টি তাদের দলিত ভোটার ভিত্তি সম্প্রসারণের জন্য রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে। প্রতিটি বুথে নতুন সমর্থক যোগ করার লক্ষ্যে একটি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। দলের লক্ষ্য ২০২৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই উল্লেখযোগ্য হারে দলিত ভোটারদের নিজেদের দিকে টেনে আনা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বাল্মীকি জয়ন্তীকে কেন্দ্র করে উভয় দল দলিত ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ হিসেবে দেখছে। বিজেপি যেখানে তাদের উপস্থিতি ও প্রভাব বিস্তারে মনোযোগী, সেখানে এসপি কেন্দ্রীভূতভাবে ভোটার তালিকাভুক্তি ও স্থানীয় স্তরে সংগঠন গড়ে তোলার দিকেই বেশি জোর দিচ্ছে।
দলীয় কৌশলবিদরা জানিয়েছেন, আগামী পর্যায়ে উভয় দলের লক্ষ্য প্রায় ৩৭ লক্ষ নতুন ভোটারকে প্রভাবিত করা, যা রাজ্য ও জাতীয় নির্বাচনে জয়ের পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে।

