আগরতলা, ১ অক্টোবর : আজ আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী প্রাঙ্গণে সুর সম্রাট শচীন দেববর্মনের ১২০তম জন্মদিবসের অনুষ্ঠান আয়েজন করা হয়েছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডঃ মানিক সাহা বলেন, শচীন দেববর্মন জাতি ও জনজাতির মধ্যে মেলবন্ধনের এক অনন্য দৃষ্টান্ত। ত্রিপুরাবাসী হিসেবে আমরা তাঁর মতো একজন সঙ্গীত ব্যক্তিত্বকে নিয়ে গর্ব অনুভব করি।
শচীন দেববর্মনের জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি শুধু ত্রিপুরার গর্বই নন, সমগ্র ভারতবর্ষের সঙ্গীত জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাঁর সৃষ্টিতে যেমন ধরা পড়ে মাটির টান, তেমনই রয়েছে উচ্চমানের শিল্পসত্তার নিপুণ প্রকাশ।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের তরুণ প্রতিভাদের উদ্দেশ্যে বলেন, “ত্রিপুরার ছেলেমেয়েদের মধ্যে প্রতিভার কোনো অভাব নেই। প্রয়োজন শুধুমাত্র আত্মবিশ্বাস এবং নিয়মিত চর্চার। সঙ্গীত হোক কিংবা অন্য কোনো শিল্প প্রতিটি ক্ষেত্রেই নিজেদের সৃষ্টিশীলতাকে আরও বেশি করে অনুশীলনের মাধ্যমে বিকশিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আজকের দিনে যাঁরা সঙ্গীতের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের দায়িত্ব আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করা। নিজেদের সৃষ্টি ও গবেষণাকে আরো গভীর করে তুলতে হবে যাতে আমরা আমাদের সংস্কৃতি ও শিকড়ের সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে যুক্ত হতে পারি। সৃষ্টির মধ্যেই নিজেকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব এটাই শচীন দেববর্মনের শিক্ষা। তাঁর কথায়, সংগীতের চাইতে ভালো কিছু আর থাকতে পারে না। সংগীত জগতে এক সীমাহীন অবস্থান দখল করে আছেন এরাজ্যের কৃতি সন্তান শচীন কর্তা। বিশ্ব বরেণ্য এই সঙ্গীতজ্ঞের সৃষ্টি সম্ভার আগামী প্রজন্মের জন্য অমূল্য সম্পদ হয়ে থাকবে বলে মনে করেন তিনি।

