অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ধূমপান সামগ্রী বিক্রি নিয়ে এনএইচআরসি-র উদ্বেগ, কেন্দ্রকে নোটিস

নয়াদিল্লি, ২৬ সেপ্টেম্বর :
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (এনএইচআরসি) অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলির মাধ্যমে ধূমপান সম্পর্কিত সামগ্রী সহজলভ্য হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ২৩ সেপ্টেম্বর দায়ের হওয়া এক অভিযোগের ভিত্তিতে কমিশন ২৬ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে সঞ্জ্ঞান নেয় এবং মানবাধিকার সুরক্ষা আইন, ১৯৯৩ এর ধারা ১২ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলিকে নোটিস জারি করে।

অভিযোগে জানানো হয়েছে, ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম যেমন ব্লিঙ্কইট, ইনস্টামার্ট, জেপ্টো ও অন্যান্যর মাধ্যমে রোলিং পেপার, ফিল্টার টিপস, ক্রাশিং ট্রে সহ ধূমপান-সংক্রান্ত বিভিন্ন সামগ্রী অবাধে বিক্রি হচ্ছে। বয়স যাচাইয়ের ব্যবস্থা অত্যন্ত দুর্বল, যেখানে শুধু ‘১৮ বছরের ঊর্ধ্বে’ বক্সে টিক দিলেই কেনাকাটা সম্ভব। এর সুযোগ নিয়ে অপ্রাপ্তবয়স্করাও এসব ক্ষতিকর পণ্যে সহজেই পৌঁছে যাচ্ছে।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, এসব পণ্যের গায়ে আইন অনুযায়ী বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্য সতর্কীকরণ পর্যন্ত নেই, যা সরাসরি সিগারেট ও অন্যান্য তামাকজাত পণ্য আইন (COTPA), ২০০৩ এবং তার সংশোধনীর লঙ্ঘন। পাশাপাশি অনলাইন প্রচার-প্রসারকে পরোক্ষ বিজ্ঞাপন ধরা হয়, যা আইনত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

অভিযোগকারী সংগঠন ‘নেটওয়ার্ক ফর অ্যাক্সেস টু জাস্টিস অ্যান্ড মাল্টি ডিসিপ্লিনারি আউটরিচ ফাউন্ডেশন’ জানিয়েছে, এই চর্চা কেবল আইন বিরোধী নয়, শিশু ও কিশোরদের স্বাস্থ্যের জন্যও বড় হুমকি। একই সঙ্গে আইটি আইন, ২০০০ এবং ইন্টারমিডিয়ারি গাইডলাইনস এর অধীনে অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলির দায়িত্ব পালনে গাফিলতির অভিযোগ তোলা হয়েছে।

মানবাধিকার কমিশনের বেঞ্চ, যার সভাপতিত্ব করেন সদস্য প্রিয়াঙ্ক কানুঙ্গো, অভিযোগকে মানবাধিকারের লঙ্ঘনের প্রাথমিক মামলা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। কমিশন ভোক্তা বিষয়ক দপ্তরের সচিব ও ইলেকট্রনিক্স ও আইটি মন্ত্রণালয়ের সচিবকে নোটিস পাঠিয়ে গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে এবং চার সপ্তাহের মধ্যে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট (ATR) দাখিল করতে বলেছে।

এছাড়া কমিশন স্পষ্ট করেছে যে, রিপোর্টে এটিও উল্লেখ করতে হবে যে অন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলিও কি একইভাবে এসব সামগ্রী বিক্রি করছে কি না।