নয়াদিল্লি, ১ অক্টোবর :
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় स्वयंসেবক সংঘের (আরএসএস) শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এদিন অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি সংঘের শতবর্ষের যাত্রাকে ত্যাগ, নিঃস্বার্থ সেবা ও জাতি নির্মাণের এক অনন্য দৃষ্টান্ত বলে বর্ণনা করেন। মোদী বলেন, “আরএসএস-এর শতবর্ষ উদযাপনের অংশ হতে পেরে আমি অত্যন্ত গর্বিত।”
প্রধানমন্ত্রী স্মরণ করিয়ে দেন যে, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আরএসএস জাতি গঠনের মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছে। তিনি বলেন, সংঘ ব্যক্তি গঠনের মাধ্যমে জাতি গঠনের পথ বেছে নিয়েছে এবং তার কার্যপদ্ধতি হিসেবে দৈনিক ও নিয়মিত ‘শাখা’র কাঠামো গ্রহণ করেছে।
ড. হেডগেওয়ারের দর্শন উল্লেখ করে মোদী বলেন, “জাতি তখনই শক্তিশালী হবে, যখন প্রতিটি মানুষের অন্তরে দেশের প্রতি দায়িত্ববোধ জাগ্রত হবে। এজন্য তিনি ব্যক্তি গঠনে নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন। সাধারণ মানুষকে বেছে নিয়ে তাদের দেশনিষ্ঠ স্বয়ংসেবকে পরিণত করার কাজ করতেন।” তিনি কুমোরের উদাহরণ টেনে বলেন, “যেমন কুমোর সাধারণ মাটি দিয়ে ইট তৈরি করে ভব্য স্থাপনা নির্মাণ করেন, তেমনি হেডগেওয়ার সাধারণ মানুষকে শোধন করে জাতির প্রতি নিবেদিত করতেন।”
মোদী আরও বলেন, আরএসএস শাখাগুলো আজও ব্যক্তি গঠনের এক অনন্য ক্ষেত্র। শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক বিকাশের মাধ্যমে এখানে স্বয়ংসেবকদের মনে দেশসেবার চেতনা ও সাহস বৃদ্ধি পায়। “শাখার মাঠ এক ধরনের অনুপ্রেরণার ভূমি, যেখানে ‘অহম’ ভেঙে সমষ্টির প্রতি আত্মনিবেদন গড়ে ওঠে,” মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী জানান, ত্যাগ ও সমর্পণ সংঘের স্বয়ংসেবকদের জন্য স্বাভাবিক হয়ে যায়। ব্যক্তিগত কৃতিত্বের প্রতিযোগিতা দূর হয়ে যায় এবং তারা সমষ্টিগত সিদ্ধান্ত ও কর্মপদ্ধতিতে অভ্যস্ত হয়। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “জাতি গঠনের মহান লক্ষ্য, ব্যক্তি গঠনের স্পষ্ট পথ এবং শাখার মতো সরল ও জীবন্ত কার্যপদ্ধতিই আরএসএস-এর শতবর্ষের যাত্রার মূলভিত্তি।”

