আগরতলা, ২৮ সেপ্টেম্বরঃ আজ মহাষষ্ঠী। শারদোৎসবের মূল পর্ব শুরু হলো দেবী দুর্গার বোধনের মধ্য দিয়ে। রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় সকাল থেকেই উৎসবমুখর পরিবেশ। শহরের বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে ঐতিহ্য মেনে জল ভরে এনে বোধন পূজা সম্পন্ন হয়েছে। সঙ্গে নিয়ম মেনে সম্পন্ন হয়েছে ষষ্ঠীপূজাও।
আজ রাজধানী আগরতলার বিভিন্ন পূজা মন্ডপের মহিলারা এই বোধনের জন্য হাওড়া নদী থেকে গঙ্গা আবাহন করে নিয়ে আসেন। সুসজ্জিত র্যালির মাধ্যমে শিশু থেকে শুরু করে মহিলারা এই বোধনের আনন্দে সামিল হয়েছেন। পুরোহিতের মন্ত্র উচ্চারণ ও ঢাকের বাদ্যিতে সম্পন্ন হয়েছে এদিনের দুর্গা বোধনের আচার।
শাস্ত্রমতে, মহাষষ্ঠীর দিনেই দেবী দুর্গার অধিবাস, আমন্ত্রণ ও বোধন অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি পূজা মণ্ডপেই আজ সকালে নদী বা পুকুর থেকে কলসিতে জল ভরে আনা হয়। সেই পবিত্র জল দিয়েই শুরু হয় বোধন পূজা। দেবীর প্রতিমায় প্রতীকীভাবে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়, অর্থাৎ দেবীকে মর্ত্যে আহ্বান জানানো হয়। প্রতিটি পূজা মণ্ডপেই সকাল থেকে পুরোহিতদের মন্ত্রোচ্চারণ, ঢাক-ঢোলের বাদ্য, শঙ্খধ্বনি আর উলুধ্বনিতে মুখরিত ছিল পরিবেশ।
মহাষষ্ঠীর আজকের বিশেষত্ব হলো দেবী দুর্গার চক্ষুদান। প্রতীকীভাবে দেবী মৃন্ময়ী প্রতিমায় প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়। বোধন, অধিবাস ও আমন্ত্রণের মাধ্যমে শুরু হলো দুর্গোৎসব।
সকালের পর থেকেই রাজধানীর পূজা মণ্ডপগুলোতে ঢাক-ঢোলের বাদ্য, শঙ্খধ্বনি ও উলুধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে চারদিক। শিউলি ফুলের সুবাস, শরতের সাদা মেঘ আর কাশফুলে ভরা প্রকৃতি যেন এক অন্যরকম আবহ তৈরি করেছে।
বোধন, অধিবাস ও আমন্ত্রণের মধ্য দিয়ে শুরু হলো বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজার মূল পর্ব। আগামী চারদিন ধরে সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী ও বিজয়া দশমীর আচার পালিত হবে। তাই মহাষষ্ঠী শুধু দেবী আগমনের দিন নয়, বাঙালির আবেগ-অনুভূতির সূচনাদিবস হিসেবেও তাৎপর্যপূর্ণ।

