ত্রিপুরায় মাছ খাওয়ার হার দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ: মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা, ২৫ সেপ্টেম্বর: উত্তর-পূর্ব ভারতের মধ্যে ত্রিপুরা এখন মৎস্য উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এবং গোটা দেশের মধ্যে ত্রিপুরার মানুষই মাছ খাওয়ার দিক থেকে শীর্ষে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক (ডঃ) মানিক সাহা। তিনি বলেন, রাজ্যের ৯৯.৩৫ শতাংশ মানুষ মাছ খান, যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।

আজ আগরতলার মহারাজগঞ্জ বাজার মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত রক্তদান, বস্ত্রদান ও শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মুখ্যমন্ত্রী এই তথ্য তুলে ধরেন। তিনি জানান, বর্তমানে রাজ্যে বছরে প্রায় ৯৪ হাজার মেট্রিক টন মাছ উৎপাদিত হয়। মাছের চাহিদা পূরণে রাজ্য সরকার আরও উদ্যোগ নিচ্ছে। তিনি বলেন, চাহিদা ও যোগানের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। এই লক্ষ্যেই পুকুর খননে ‘অমৃত কাল’-এ রাজ্য নজির সৃষ্টি করেছে।

রক্তদানের গুরুত্ব প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের জনসংখ্যার ১ শতাংশ অর্থাৎ ৪০ হাজার ইউনিট রক্ত ব্লাড ব্যাংকে মজুত থাকা প্রয়োজন। তিনি বলেন, মানুষ মানুষের জন্য এই নীতি মেনে রক্তদানের মাধ্যমে আমরা অন্যের পাশে দাঁড়াতে পারি। রক্তের কোনও ধর্ম বা জাত হয় না। তিনি জানান, রক্তদানে উৎসাহ দিতে রাজ্য সরকার একটি নিজস্ব পোর্টাল চালু করতে চলেছে।

মুখ্যমন্ত্রী এদিন রাজ্যের বাজারগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নে সরকারের ভূমিকার কথাও তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য, আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, কর্পোরেটর রত্না দত্ত, মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সুবীর দাস এবং সম্পাদক ভবতোষ দাস।