আগরতলা, ২০ সেপ্টেম্বর: রাতের আঁধারকে হাতিয়ার করে বেছে নিয়েছে গুন্ডামি ও চৌর্যবৃত্তির পথ। প্রতাপগরে সিপিআইএম পার্টি অফিসে চালানো হলো বুলডোজার। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দিনের আলোয় প্রশাসনের সামনে দাঁড়ানোর সাহস নেই বলেই শাসকদল রাতের আঁধারে সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক তথা বিরোধী দলনেতা জীতেন্দ্র চৌধুরী, সিপিআইএম পশ্চিম জেলার সম্পাদক রতন দাস সহ ডুকলি বিভাগীয় কমিটির সম্পাদক সমর চক্রবর্তী।
এবিষয়ে বামফ্রন্টের এক নেতৃত্বর দাবি, জনগণের মধ্যে ক্রমশ জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে সরকার, আর সেই আতঙ্ক ঢাকতেই বিরোধী শক্তির কণ্ঠ রুদ্ধ করার চেষ্টা চলছে।রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এ ধরনের পদক্ষেপ আসলে সরকারের ভয়কে প্রকাশ করছে। কারণ, সর্বত্র জনজীবনের সমস্যা—বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি, দুর্নীতি নিয়ে যখন ক্ষোভ বাড়ছে, তখন প্রশাসন মানুষের সমস্যা সমাধানের বদলে বিরোধীদের কণ্ঠরোধে ব্যস্ত।
সিপিআইএম-এর স্থানীয় আরেক নেতৃত্ব সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বুলডোজার চালিয়ে অফিস ভাঙা যাবে, কিন্তু আন্দোলনের শক্তি ভাঙা যাবে না। মানুষের পাশে থেকে সরকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চলবেই। তাঁর কথায়, এই ঘটনায় পরিষ্কার ভয় পেয়েছে শাসক। আর সেই ভয়ই তাদেরকে চালিত করছে রাতের আঁধারে গুন্ডামির আশ্রয় নিতে। তবে রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন উঠেছে কতদিন এভাবে ভয় দেখিয়ে মানুষের কণ্ঠস্বর রুখা যাবে?
এদিকে, খবর পেয়ে আজ সকালে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক তথা বিরোধী দলনেতা জীতেন্দ্র চৌধুরী। তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, রাতের আঁধারে বুলডোজার চালিয়ে পার্টি অফিস ভাঙচুর চালিয়ে শাসক দলের আশ্রিত দুষ্কৃতকারীরা। রাজ্যে আরএসএস ও বিজেপির বর্বরতা চরমে পৌঁচ্ছেছে। জনগণকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাজ্যে ক্ষমতায় এসে সাড়ে সাত বছরে শুধু লুট করেছে। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের আইনের শাসন সম্পূর্ণ ভূলন্ঠিত হচ্ছে। আসলপ তাঁরা বুঝতে পেরেছেন ধ্বংসের শেষ লগ্নে পৌঁছে গিয়েছে। যার কারণে তাঁরা রাতের আঁধারে গুন্ডামির আশ্রয় নিচ্ছে।

