চাঁদার দাবিতে দোকান ভাঙচুরের অভিযোগ ক্লাবের বিরুদ্ধে, থানায় মামলা

আগরতলা, ১৬ সেপ্টেম্বর: চাঁদার জন্য দোকান ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে সেকেরকোট বাজারে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য পুলিশ মহা নির্দেশকের কড়া হুঁশিয়ারির পরেও কমছে না চাঁদার জুলুম। এমনই অভিযোগ উঠে এলো।

জাকজমকভাবে দুর্গাপূজা করতে হলে পূজোর বাজেট বাড়াতে হবে এবং এলাকার সেরা পূজার পুরস্কার পেতে হলে তা অবশ্যই আকর্ষণীয় হতে আর তার জন্য চাই লক্ষ লক্ষ টাকার বাজেট। আর এর জন্যেই শুরু হয় চাঁদার জুলুম। অন্যান্য বছরের মতো এবারেও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় থেকে চাঁদার জুলুমবাজির খবর উঠে আসছে।

অন্যান্য বছরের তুলনায় আমতলী থানার অন্তর্গত পি এম শ্রী সেকেরকোট দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় সংলগ্ন নিউ ক্লাবের পক্ষ থেকে শারদীয়া দুর্গাপূজার আয়োজন করেছে তাও আবার বেশ বড়োসড়ো আকারে। তাই মঙ্গলবার গভীর রাতে নিউ ক্লাবের বেশ কিছু সদস্য নামধারী দুষ্কৃতিকারীরা সেকেরকোট বাজারের এক ব্যবসায়ীর কাছে ১০ হাজার টাকার পূজার চাঁদা দাবি করে বসে। কিন্তু ওই দোকানের মালিক দশ হাজার টাকা চাঁদা দিতে পারবে না বলে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেয়, আর তখনই নিউ ক্লাবের বেশ কিছু দুষ্কৃতিকারীরা ধারালো দা এবং লাঠি নিয়ে বাজারের ভেতরে চারটি দোকান ভাঙচুর এবং লুটপাট চালায়। পরে বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ীদের তরফ থেকে খবর দেওয়া হয় বাজার কমিটির পদাধিকারীদের। পরে বাজার কমিটির সম্পাদকসহ অন্যান্যরা ছুটে আসলে নিউ ক্লাবের দুষ্কৃতিকারীরা পালিয়ে যায়।

এই ঘটনায় বাজার ব্যবসায়ী কমিটির পক্ষ থেকে মঙ্গলবার দুপুরে আমতলী থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লিখিত আকারে মামলা দায়ের করে। এই ঘটনার পর থেকে বাজারের সকল ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। যেখানে রাজ্য সরকার এবং পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে বারবার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে কোন ক্লাব কিংবা সংস্থা যেন পূজার চাঁদা নিয়ে জুলুমবাজি না করে। তবে এই হুশিয়ারির পরেও নিউ ক্লাবের সদস্যরা বাজারে চাঁদার দাবিতে জুলুমবাজি চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ।

এই ঘটনার পর থেকে বাজারের সমস্ত ব্যবসায়ীরা অভিযুক্ত দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা সহ এই বছর নিউ ক্লাবের দুর্গা পূজার আয়োজন যেন স্থগিত করা হয়।