আগরতলা, ১৪ সেপ্টেম্বর: অখিল ভারতীয় রাষ্ট্রীয় শৈক্ষিক মহাসংঘ ত্রিপুরা (মহাবিদ্যালয় শিক্ষা)-র উদ্যোগে রবিবার আগরতলার নজরুল কলাক্ষেত্রে অনুষ্ঠিত হয় এক দিবসিয় বার্ষিক সাধারণ সভা। এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী কিশোর বর্মন সহ অন্যান্যরা। এদিন প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে এই সভার সূচনা করেন মন্ত্রী কিশোর বর্মন।
এদিনের অনুষ্ঠান সম্পর্কে বলতে গিয়ে মন্ত্রী কিশোর বর্মন বলেন, অখিল ভারতীয় রাষ্ট্রীয় শৈক্ষিক মহাসংঘ একটি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক সংগঠন। দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে রাজনৈতিক সচেতক হিসেবে একজন শিক্ষক বা অধ্যাপকের যে ভূমিকা হওয়া উচিত দেশ সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে সেই দিশাতেই কাজ করছে এই সংগঠন। এদিনের এই সভা থেকে শিক্ষাঙ্গনে রাস্ট্রবাদী বিচার ধারার প্রচার এবং রাষ্ট্রীয় চরিত্র সম্পন্ন শিক্ষা সমাজ গড়ে তোলাই এর মূল লক্ষ্য।
উল্লেখ্য, ‘অখিল ভারতীয় রাষ্ট্রীয় শৈক্ষিক মহাসংঘ’, ত্রিপুরা (মহাবিদ্যালয় শিক্ষা) রাষ্ট্র, শিক্ষা, শিক্ষক ও সমাজকল্যাণের অঙ্গীকারকে পাথেয় করে ১২ আগস্ট ২০১৮ সালে যাত্রা শুরু করে। আজ ২০২৫ সালে এই সংগঠন ত্রিপুরা রাজ্যের মহাবিদ্যালয় স্তরে সর্ববৃহৎ ও শক্তিশালী শিক্ষক সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। নিরলস প্রচেষ্টা ও অখিল ভারতীয় রাষ্ট্রীয় শৈক্ষিক মহাসংঘ’-এর দিকনির্দেশনাকে ভিত্তি করে সংগঠনটি রাষ্ট্রবাদী ভারতীয় চিন্তাধারায় শিক্ষক সমাজকে অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। বর্তমানে ত্রিপুরার ৩৯টি ডিগ্রি, টেকনিক্যাল ও প্রফেশনাল কলেজে এর সক্রিয় উপস্থিতি রয়েছে। বিগত এক বছরে সংগঠন বহু কার্যক্রম সাফল্যের সাথে সম্পাদন করেছে।
শিক্ষার স্বার্থে এবং কলেজ শিক্ষকদের পেশাগত দাবিদাবা নিয়ে সংগঠন সতত সক্রিয় রয়েছে। এই সক্রিয়তার অঙ্গ হিসাবে বিগত বছরে সময়ে সময়ে সংগঠন উচ্চশিক্ষা দপ্তরের মাননীয় মন্ত্রী ও আধিকারিকদের সাথে মিলিত হয়ে সংগঠনের দাবিসনত তুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও সংগঠনের বিস্তারে বিভিন্ন সাংগঠনিক কার্যক্রম গৃহীত হয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, রাষ্ট্রীয় কার্যকারিণী বৈঠক/ কেন্দ্রীয় কার্যক্রমে যোগদান, যোজনা বৈঠক, শাখা বৈঠক, কার্যকরিণী কমিটির নিয়মিত বৈঠক, প্রকোষ্ঠ বৈঠক ইত্যাদি।
আগামী দিনে শিক্ষক সমাজের ন্যায্য দাবি প্রতিষ্ঠা, শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন উদ্যোগ গ্রহণ এবং সঙ্ঘবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে সংগঠন আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে বলে দৃঢ় বিশ্বাস ব্যক্ত করেছেন সংগঠনের নেতৃত্বগণ।
