আগরতলা, ৯ সেপ্টেম্বর : দুর্গাপূজার আগেই আগরতলা শহর এলাকার নির্মীয়মান ড্রেনের এবং রাস্তার কাজ সম্পন্ন করা হবে। দুর্গাপূজার সময় যাতে পুণ্যার্থীদের কোন ধরনের অসুবিধা না হয় সেজন্য পুর নিগমের তরফ থেকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দুর্গাপূজার আগেই আগরতলা শহরের সৌন্দর্যায়নে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে আগরতলা পুর নিগম কর্তৃপক্ষ।
এ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পুরনিগমের মেয়র দীপক কুমার মজুমদারের পৌরহিত্যে আজ এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পুর নিগমের মেয়র এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানান।
তিনি বলেন, দুর্গাপূজার আগেই আগরতলা শহর এলাকার নির্মাণ সমস্ত কাজ সম্পন্ন করা হবে। রাস্তাঘাটে চলাচল করতে এবং যানবাহন পার্কিং করতে যাতে কোন ধরনের অসুবিধা না হয় সেজন্য পুর নিগম প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিচ্ছে। পূজার আগেই আগরতলা শহরের সৌন্দর্যায়নে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। আগরতলা শহর এলাকাকে আলোয় আলোকিত করা হবে। এজন্য অতিরিক্ত আলোর ব্যবস্থা করা হবে।
শুধু তাই নয় ,মায়ের গমন অনুষ্ঠানকে আরো সুন্দর করে সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এজন্য দশমী কার্ড এলাকাকে পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে। কোন ধরনের সাউন্ড বক্স বাজানো যাবে না। মা বোনদের উলুধ্বনি এবং ঢাকের আওয়াজে মায়ের গমন অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে। দশমী ঘাট ছাড়াও অন্যান্য ঘাট গুলিকে সৌন্দর্যায়নে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
এছাড়াও পুর নিগমের উদ্যোগে প্রতি বছরই বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে নিগম এলাকার ক্লাবগুলিকে পুরস্কৃত করা হয়। পুরস্কার প্রদানের জন্য ক্লাবগুলোকে বাছাই করে নিরপেক্ষ বিচারক মন্ডলী। এই বিচারক মন্ডলীর সদস্যদের নিয়ে পুর নিগমের কনফারেন্স হলে মঙ্গলবার এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পূজা উদ্যোক্তাদের চারটি জোনালে চারটি বিষয়ের উপর পুরস্কৃত করা হয়। প্রতিটি জোনালের শ্রেষ্ঠ ক্লাব গুলিকে সুদৃশ্য ট্রফি এবং ২৫ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়। পাঁচটি বিষয়ের উপর বিবেচনা করে সারা আগরতলা শহর জুড়ে পাঁচটি করে সেরার সেরা পাঁচটি ক্লাবকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। সদৃশ্য ট্রফি এবং ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হয় সেই পূজা উদ্যোক্তাদের। মোট ২১ টি সুদৃশ্য ট্রফি ও আর্থিক পুরস্কার প্রদান করা হয়। পূজা উদ্যোক্তারা যেন তাদের পূজা মণ্ডপে সামাজিক বিষয়ে বার্তা প্রদান পরে সেই আহ্বান জানান মেয়র।
যেমন এইডস প্রতিরোধের বার্তা, পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে বার্তা প্রতিটি ক্লাব যেন রাখে এই আবেদন রাখেন তিনি। পাশাপাশি প্রতিটি ক্লাবের প্রতি রেজিস্ট্রেশন করানোর আহ্বান রাখেন তিনি। সারা রাজ্য থেকে যারা দর্শনার্থীরা পূজা দেখতে আসবেন তাদের সুখ স্বাচ্ছন্দের কথা চিন্তা করে যানজট মুক্ত , পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন আগরতলা শহর রাখবে পুর নিগম। দুর্গাপূজাকে ঘিরে ষষ্ঠী থেকে প্রতিটা ক্লাবে পুর সাফাই কর্মী এবং ব্লিচিং পাউডারসহ অন্যান্য সামগ্রী প্রদান করা হয়। আবর্জনা দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার জন্য অতিরিক্ত গাড়ির ব্যবস্থাও করা হবে।
তিনি আরো বলেন, দশমী ঘাটে তিন শতাধিক প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়। পাশাপাশি শহর সংলগ্ন ১৩ টি ঘাটে বাকি ৩০০ এর মত প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়। এদিকে লক্ষ্য রেখে প্রতিটি জায়গায় পুরো নিগমের অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগ করা হবে। পাশাপাশি দশমীঘাট এলাকায় ৫০ জন ঢাকী থাকবে প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য । সেই জায়গা কোন ধরনের বাদ্যযন্ত্র এবং সাউন্ড সিস্টেম নিয়ে কোন পুজো উদ্যোক্তাই প্রবেশ করতে পারবে না। দুর্গাপূজা যেন সুন্দর ভাবে কাটে সেই দায়িত্ব সকলকে নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

