দুর্গাপূজা ও দীপাবলি উৎসবকে ডি জে সাউন্ড নিষিদ্ধ করলো প্রশাসন

আগরতলা, ৬ সেপ্টেম্বর: দূর্গাপূজার চাঁদা বলপূর্ব কারো কাছ থেকে আদায় করা যাবে না।অফিস, আদালতে চাঁদার জন্য যাওয়া যাবে না। কারোর বাড়িতে চাঁদার জন্য গেলে সকাল সাতটা থেকে নয়টা এবং বিকেল তিনটা থেকে পাঁচটার মধ্যে যাওয়া যাবে। দুইজনের বেশি কারুর বাড়িতে চাঁদার জন্য যাওয়া যাবে না। সন্ধার পরে কারোর বাড়িতে দুর্গা পূজার জন্য চাঁদা নিতে যাওয়া যাবে না। গাড়ি থেকে চাঁদা তোলা যাবে না। বাজার থেকেও বলপূর্বক চাঁদা তোলা যাবে না। যদি অভিযোগ আসে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ক্লাবগুলিকে সতর্ক করে দিলেন বিশালগড় পঞ্চায়েত সমিতির হল ঘরে আয়োজিত বিশালগড় মহকুমা সমস্ত ক্লাব ও বিভিন্ন পূজা কমিটির কর্মকর্তাদের মহকুমা প্রশাসন সহ স্থানীয় বিধায়কগণ।

আসন্ন দুর্গোৎসব ও দীপাবলি উৎসব কে কেন্দ্র করে শনিবার বিকেলে বিশালগড় পঞ্চায়েত সমিতির কনফারেন্সল হলে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিশালগড় ও কমলাসাগরের বিধায়ক ও বিদায়িকা‌। তাছাড়া উপস্থিত ছিলেন মহাকুমা পুলিশ আধিকারিক দুলাল চন্দ্র দত্ত, মহকুমা শাসক রাকেশ চক্রবর্তী,বিশালগড় বিশ্রামগঞ্জ ও মধুপুর থানার ওসি সহ বিভিন্ন লাইন দপ্তরের আধিকারিকরা।

বৈঠকের শুরুতে সমস্ত ক্লাব গুলিকে চাঁদা নিয়ে যেন কোনো রকম জুলুমবাজি না হয় সে বিষয়ে স্পষ্ট ভাষায় সকলকে জানিয়ে দিলেন আধিকারিকরা।সনাতনীদের সবচাইতে বড় উৎসব দুর্গো উৎসব। সমস্ত বাঙালিরা দীর্ঘ অপেক্ষায় বসে থাকে মায়ের এই আগমনে। মায়ের আগমনের চার দিন মানুষ যেন আনন্দে মেতে উঠতে পারে সে ক্ষেত্রে যেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন রকম ত্রুটি না থাকে সেদিকে সমস্ত লাইন দপ্তরের আধিকারিকদের নির্দেশ দিলেন বিধায়কগণ।

বৈঠকের আদালতের রায়কে সম্মান জানিয়ে প্রথম সিদ্ধান্ত ডিজে সাউন্ড নিষিদ্ধ করলো প্রশাসন, হাসপাতাল গুলোর সামনে কোনরকম উচ্চস্বরে মাইকে বাজানো যাবে না। দুর্গোৎসবে কিংবা দীপাবলিতে উচ্চস্বরে অর্কেস্ট্রা বাজানো যাবে না। রাত দশটার মধ্যে সমস্ত প্রোগ্রাম সমাপ্ত করতে হবে। যারা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য করে সেই সমস্ত ক্লাব এবং পুজো কমিটির বিরুদ্ধে আইনান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রত্যেকদিন রাতে রাত দশটার পর প্রত্যেক ক্লাব কর্তৃপক্ষ সহ সমস্ত পুজো কমিটির নেতৃত্বরা তাদের নিজ নিজ এলাকার যে সাউন্ড বক্স লাগানো থাকবে তা অনেকটাই কমিয়ে নিতে হবে। এদিনের বৈঠকে প্রশাসনের সমস্ত সিদ্ধান্তকে সার্বিকভাবে সাহায্য সহায়তা করবে বলে প্রত্যেক ক্লাব এবং পূজো কমিটির কর্মকর্তারা সম্মতি প্রদান করেন। আপনার আনন্দ যেন পরের নিরানন্দ না হয় সেদিকে প্রত্যেককে লক্ষ্য রাখার বার্তা দিলেন বিধায়ক সহ বিধায়িকা।