নতুন প্রজন্মের জিএসটি সংস্কারে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত, বললেন অমিত শাহ – সাধারণ মানুষের জন্য বড় স্বস্তি

নয়াদিল্লি, ৪ সেপ্টেম্বর: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে জিএসটি সংস্কারে বড় পদক্ষেপ নিল কেন্দ্রীয় সরকার। জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিদ্যমান চার স্তরের কর কাঠামোকে সরলীকরণ করে কেবলমাত্র দুইটি স্তর — ৫% ও ১৮% — রাখা হয়েছে। এই সংস্কার কার্যকর হবে ২২ সেপ্টেম্বর থেকে।

এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক বার্তায় তিনি বলেন,“প্রধানমন্ত্রী যা প্রতিশ্রুতি দেন, তা পূরণ করেন। জিএসটি হারে কাটছাঁট এবং প্রক্রিয়া সংস্কারের এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষ, কৃষক, এমএসএমই, নারী ও যুবকদের জন্য বিশাল স্বস্তি নিয়ে আসবে। এটি জীবনযাত্রার সহজতা নিশ্চিত করবে এবং ছোট ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের জন্য ‘ইজ অফ ডুইং বিজনেস’-এ বড় ধাক্কা দেবে। এই সংস্কার প্রকৃত অর্থেই একটি রূপান্তরমূলক পদক্ষেপ।”

অমিত শাহ ছাড়াও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর, বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, এবং একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা এই সংস্কারকে স্বাগত জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজেও এই সংস্কারকে স্বাধীনতা দিবসে দেওয়া প্রতিশ্রুতির বাস্তব রূপ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন,“এই জিএসটি সংস্কার সাধারণ মানুষ, কৃষক, মধ্যবিত্ত, এমএসএমই, নারী ও যুবকদের জীবনকে আরও সহজ ও সাশ্রয়ী করবে। একই সঙ্গে এটি ব্যবসা সহজতর করে দেশের অর্থনীতিকে মজবুত করবে।”

অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন জানান, জিএসটি কাউন্সিল সর্বসম্মতভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সংস্কার শুধু হারের কমানো নয়, বরং এটি একটি “গঠনমূলক ও কাঠামোগত” সংস্কার।

তিনি বলেন, কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, গাড়ি, ইলেকট্রনিক্স সহ বহু ক্ষেত্রেই কর হার হ্রাস করা হয়েছে। বিশেষ করে সাধারণ মানুষের ব্যবহৃত পণ্যে সম্পূর্ণ করছাড় দেওয়া হয়েছে।

এই সংস্কারে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্য আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।