চণ্ডীগড়, ৩ সেপ্টেম্বর: পাঞ্জাব রাজ্য বর্তমানে সাম্প্রতিক দশকের অন্যতম ভয়াবহ ও ব্যাপক বন্যার সম্মুখীন হয়েছে। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে এখনো পর্যন্ত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৩.৫৪ লক্ষের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। রাজ্যজুড়ে ১ লক্ষ ৪৮ হাজার হেক্টরের বেশি জমির ফসল জলে ডুবে নষ্ট হয়েছে, এবং শত শত গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে।
বন্যা পরিস্থিতি আরও গুরুতর হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, কারণ অপেক্ষাকৃত কম ক্ষতিগ্রস্ত জেলার জেলা প্রশাসকরা সতর্কবার্তা জারি করে সতলুজ, রাভি ও বেয়াস নদী এবং তাদের উপনদীর তীরবর্তী বাসিন্দাদের ত্রাণ শিবিরে চলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
আবহাওয়া দফতর আজকের জন্য ‘অরেঞ্জ অ্যালার্ট’ জারি করেছে, যেখানে কিছু কিছু জেলায় অত্যন্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে—যেগুলির অনেকগুলি ইতিমধ্যেই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত।
নদীগুলির জল উপচে পড়া, টানা বর্ষণ এবং বাঁধ থেকে নিয়ন্ত্রিতভাবে জল ছাড়ার কারণে পাঞ্জাবের ২৩টি জেলার সবকটিই এখন বন্যার কবলে। এর মধ্যে গুরদাসপুর জেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত, যেখানে ১.৪৫ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এরপরই রয়েছে অমৃতসর, ফিরোজপুর, ফাজিলকা ও পাঠানকোট জেলা। মানসা, কপুরথলা ও তারণ তারণ জেলাও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রাজ্যের রাজস্ব, পুনর্বাসন ও বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী হারদীপ সিং মুন্ডিয়ান জানিয়েছেন, ত্রাণ, উদ্ধার ও পুনর্বাসনের কাজ যথাসময়ে এবং ব্যাপক পরিসরে চালানো হচ্ছে। হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এদিকে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নয়াব সিং সাইনি পাঞ্জাববাসীর পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন এবং বলেছেন, “এই সংকটের সময়ে হরিয়ানা পাঞ্জাবের পাশে রয়েছে।”
রাজ্যের মানুষ এবং প্রশাসন একসঙ্গে এই সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ত্রাণ শিবিরে থাকা মানুষদের জন্য খাদ্য, ওষুধ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

