এপিডার ‘ভারতী’ উদ্যোগ চালু, কৃষি-খাদ্য রপ্তানি বৃদ্ধিতে জোর, ১০০ স্টার্টআপকে ক্ষমতায়নের লক্ষ্য

নয়াদিল্লি, ৩ সেপ্টেম্বর: নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত “ফুড অ্যান্ড বেভারেজ সেক্টর স্টেকহোল্ডার্স মিটিং”-এর সাইডলাইনে ভারতের কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য রপ্তানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নতুন এক রপ্তানি সহায়ক উদ্যোগ ভারতী চালু করেছে। ভারতী-র পূর্ণরূপ ভারতের হাব ফর এগ্রিটেক, রেজিলিয়েন্স, অ্যাডভান্সমেন্ট এবং ইনকিউবেশন ফর এক্সপোর্ট অ্যানাবলমেন্ট। এই কর্মসূচির লক্ষ্য দেশের ১০০টি উদীয়মান অ্যাগ্রিটেক ও কৃষি-খাদ্য স্টার্টআপকে রপ্তানিযোগ্য পণ্য ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে সহায়তা করা, যাতে ভারতের কৃষিপণ্য রপ্তানিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়।

উদ্যোগটি চালু করেন বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, যেখানে উপস্থিত ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিদেশ বাণিজ্য মন্ত্রী থানি বিন আহমেদ আল জেউদি এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পমন্ত্রী চিরাগ পাসওয়ান। কেন্দ্রের বাণিজ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, এই উদ্যোগ ২০৩০ সালের মধ্যে এপিডার তালিকাভুক্ত পণ্যের রপ্তানি ৫০ বিলিয়নে উন্নীত করার লক্ষ্য পূরণে সহায়ক হবে।

আগামী সেপ্টেম্বর ২০২৫-এ শুরু হতে চলা এই প্রকল্পের পাইলট ব্যাচে নির্বাচিত ১০০টি স্টার্টআপকে তিন মাসের এক্সেলারেশন প্রোগ্রামের মাধ্যমে পণ্য উন্নয়ন, রপ্তানি প্রস্তুতি, গুণমান নিয়ন্ত্রণ, বাজার প্রবেশ ও রপ্তানি সমস্যার সমাধানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। জিআই-ট্যাগযুক্ত পণ্য, জৈব খাদ্য, সুপারফুড, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, পশুপণ্য ও আয়ুষ পণ্য— এই ধরনের উচ্চ-মূল্যবান পণ্যের উদ্ভাবনে উৎসাহ দেওয়া হবে। এছাড়া এআই ভিত্তিক গুণমান নিয়ন্ত্রণ, ব্লকচেইন ট্রেসেবিলিটি, আইওটি কোল্ড চেইন, অ্যাগ্রি-ফিনটেক এবং টেক-সমর্থিত টেকসই প্যাকেজিং-এর মতো প্রযুক্তিনির্ভর সমাধানকেও উৎসাহ দেওয়া হবে।

এই কর্মসূচি ভারত সরকারের আত্মনির্ভর ভারত, ভোকাল ফর লোকাল, ডিজিটাল ইন্ডিয়া এবং স্টার্টআপ ইন্ডিয়া অভিযানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। রপ্তানি চ্যালেঞ্জ যেমন পণ্যের দ্রুত পচন, মান সংরক্ষণ, মূল্য সংযোজন, পরিবহন সমস্যার কার্যকর সমাধান করতে এই প্রকল্প সহায়তা করবে। এপিডা রাজ্য কৃষি বোর্ড, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, আইআইটি, এনআইটি সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও শিল্প সংগঠনের সঙ্গে অংশীদারিত্বে একটি মজবুত ইনোভেশন ও ইনকিউবেশন ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে চলেছে।

এই পাইলট প্রোগ্রামকে ভবিষ্যতে একটি বার্ষিক রপ্তানি-সহায়ক ইনকিউবেশন মডেল হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলে জানানো হয়েছে। এপিডা আশা করছে, ভারতী উদ্যোগ ভারতের কৃষিপণ্য রপ্তানিকে আরও গতিশীল ও প্রতিযোগিতামূলক করে তুলবে এবং বৈশ্বিক কৃষি-বাণিজ্যে ভারতের অবস্থান আরও শক্তিশালী করবে।