ভারতের উপর শুল্ক ও রাশিয়া থেকে তেল আমদানি নিয়ে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প প্রশাসন, সমাধানের আশ্বাস বেসেন্টের

ওয়াশিংটন, ২ সেপ্টেম্বর: ভারত-আমেরিকার চলমান বাণিজ্য উত্তেজনার প্রেক্ষিতে ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে আশা প্রকাশ করা হয়েছে যে, দুই দেশ শিগগিরই সমাধানে পৌঁছাবে। মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট ফক্স বিজনেস-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “দুই মহান দেশ এই সমস্যার সমাধান করবে।” তবে একইসঙ্গে তিনি ভারতের রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কেনা নিয়ে কড়া সমালোচনা করে বলেন, ভারত ওই তেল কিনে তা রফতানি করছে এবং এর ফলে রুশ যুদ্ধযন্ত্রে আর্থিক জোগান দেওয়া হচ্ছে।

বেসেন্ট জানান, শুধু তেল কেনাই নয়, ধীরগতির ভারত-মার্কিন বাণিজ্য আলোচনা এবং ভারতের উচ্চ শুল্কনীতি—এই দুই কারণেই ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের উপর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করেছে, যা এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগেও ট্রাম্প বাণিজ্যিক সম্পর্ককে “একপাক্ষিক বিপর্যয়” বলে অভিহিত করেছিলেন। তার অভিযোগ ছিল, ভারতের উচ্চ শুল্কের কারণে মার্কিন পণ্য ভারতের বাজারে প্রবেশ করতে পারছে না।

সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠককেও গুরুত্বহীন বলে অভিহিত করেন বেসেন্ট। তিনি বলেন, “এই সভা অনেক পুরনো এবং মূলত আনুষ্ঠানিক। তবে ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ, এবং তাদের মূল্যবোধ আমাদের ও চীনের তুলনায় রাশিয়ার থেকে অনেক বেশি ঘনিষ্ঠ।”

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও বেসেন্ট কড়া হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেনের উপর বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছেন এবং আঙ্কোরেজে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পরও শান্তি আলোচনা এগোয়নি। তিনি স্পষ্ট জানান, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসনের অধীনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সব ধরনের বিকল্প খোলা রয়েছে এবং এই সপ্তাহেই সেগুলি পর্যালোচনা করা হবে।”

ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধার এবং রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকাতে কূটনৈতিক চাপ বজায় রাখার মধ্য দিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবে বলেই ইঙ্গিত মিলেছে বেসেন্টের বক্তব্য থেকে।