বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধনে মাত্র ১৪৪টি দাবি-আপত্তি জমা রাজনৈতিক দলগুলির, জানাল নির্বাচন কমিশন

নয়াদিল্লি, ১ সেপ্টেম্বর : বিহারে চলমান বিশেষ তৎপরতা ভিত্তিক ভোটার তালিকা সংশোধন প্রক্রিয়ার শেষ দিনে, মাত্র ১৪৪টি দাবি ও আপত্তি জমা পড়েছে রাজনৈতিক দলগুলির পক্ষ থেকে এমনটাই জানাল নির্বাচন কমিশন ।

বিহারে চলমান বিশেষ তৎপরতা ভিত্তিক ভোটার তালিকা সংশোধন প্রক্রিয়ার শেষ দিনে রাজনৈতিক দলগুলোর তরফে মাত্র ১৪৪টি দাবি ও আপত্তি জমা পড়েছে। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, এর মধ্যে সিপিআই (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী) লিবারেশন একাই ১১৮টি আবেদন করেছে— যার মধ্যে ১৫টি ছিল নাম সংযোজন এবং ১০৩টি ছিল নাম বাদ দেওয়ার জন্য আপত্তি । বিজেপি পক্ষ থেকে ১৬টি আপত্তি জমা পড়েছে, সবকটিই নাম বাদ দেওয়ার বিষয়ে। অপরদিকে, আরজেডি মাত্র ১০টি সংযোজনের আবেদন করেছে।

অন্যদিকে সাধারণ ভোটারদের সক্রিয়তা ছিল রাজনৈতিক দলগুলির তুলনায় অনেক বেশি। ব্যক্তিগতভাবে ভোটারদের তরফে প্রায় ১৬.৫৬ লক্ষ দাবি ও আপত্তি জমা পড়েছে, যার মধ্যে ২.৫৩ লক্ষ আবেদন এসেছে যোগ্য বা অযোগ্য ভোটারদের তালিকাভুক্তি বা বাদ দেওয়ার জন্য। এখন পর্যন্ত ৯১,৪৬২টি আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়েছে, যার মধ্যে ৪০,৬৩০টি সরাসরি ভোটারদের পক্ষ থেকে জমা পড়েছিল।

এই প্রক্রিয়া ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্কও তৈরি হয়েছে। কংগ্রেস ও আরজেডি অভিযোগ করেছে, এই সার প্রক্রিয়া উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কিছু নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার প্রচেষ্টা। কমিশন এই অভিযোগ খারিজ করে বলেছে, নির্ধারিত ফর্ম ছাড়া সাধারণ অভিযোগ বৈধ নয় এবং নিজ বিধানসভা কেন্দ্রের বাইরে কেউ দাবি/আপত্তি জমা দিতে পারেন না।

স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে কমিশন জানিয়েছে, ১ আগস্ট ২০২৫ তারিখে প্রকাশিত খসড়া ভোটার তালিকায় যাদের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়নি, সেই তালিকা জেলা প্রশাসন ও সিইও বিহারের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে, যা এপিক নম্বর দিয়ে খোঁজা যাবে। নাম সংযোজনের জন্য ফর্ম ৬ (আধার সহ), এবং নাম বাদ দেওয়ার আপত্তির জন্য ফর্ম ৭ ব্যবহার করতে হবে। স্বীকৃত রাজনৈতিক দলের বুথ লেভেল এজেন্টরাও নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় আবেদন করতে পারবেন।

কমিশন আরও জানায়, ভোটারদের নিবন্ধন বিধি, 1960- বিধি 20(3)(b) অনুযায়ী,, কেউ যদি অন্য বিধানসভা কেন্দ্রের বিষয়ে আপত্তি জানান, তবে তাকে শপথপত্রসহ প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করতে হবে। যদিও ১ সেপ্টেম্বর ছিল দাবির শেষ দিন, তবুও মনোনয়নের শেষ দিন পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলবে এবং সেই অনুযায়ী চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় সংশোধন সংযুক্ত করা হবে।

ভোটার তালিকা সংশোধন সংক্রান্ত যেকোনো দাবি বা আপত্তির জন্য ভোটারদের সংশ্লিষ্ট ফর্মে আবেদন করতে অনুরোধ করেছে কমিশন। বিস্তারিত তথ্য জেলা নির্বাচন দপ্তর বা সিইও বিহারের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।