চিন ১ সেপ্টেম্বর :, সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন এর শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে চীনের তিয়ানজিনে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা ছাপিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চার কেন্দ্রে উঠে এসেছে মোদী ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ব্যক্তিগত সম্পর্কের উষ্ণতা।
চীনের বৃহত্তম সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম-তে সোমবার দিনের প্রথম ভাগে শীর্ষ ট্রেন্ড ছিল, পুতিনের গাড়িতে নরেন্দ্র মোদী। সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে চীনের তিয়ানজিনে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক আলোচনার থেকেও বেশি নজর কেড়েছে মোদী ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ব্যক্তিগত রসায়ন। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসসিও সম্মেলনের মূল ভেন্যু থেকে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের স্থানে যাওয়ার আগে পুতিন প্রায় ১০ মিনিট মোদীর জন্য অপেক্ষা করেন এবং তাঁরা একসঙ্গে পুতিনের গাড়িতে রওনা হন। এই ঘটনাটি চীনের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।
প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর দুই দিনের চীন সফর শেষে নয়াদিল্লির উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে এক্স (পূর্বতন টুইটার)-এ লেখেন, “চীনে একটি ফলপ্রসূ সফর শেষ করলাম। এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিয়ে বিভিন্ন বিশ্বনেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি। ভারতীয় দৃষ্টিভঙ্গির কথা তুলে ধরেছি বিভিন্ন বৈশ্বিক ইস্যুতে। সম্মেলন সফলভাবে আয়োজনে সহায়তার জন্য চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, সরকার ও জনগণকে ধন্যবাদ।”
সম্মেলনে মোদী ভারতীয় নীতির তিনটি মূল স্তম্ভ — নিরাপত্তা, সংযুক্তি, ও সুযোগ — তুলে ধরেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সম্মিলিত পদক্ষেপ, গ্লোবাল গভর্ন্যান্স সংস্কারে সহযোগিতা এবং স্টার্ট-আপ, যুব সমাজ ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ে আরও সুযোগ সৃষ্টি করা দরকার। সম্মেলনের শেষে গৃহীত হয় ‘তিয়ানজিন ঘোষণা’ এবং এসসিও-র পরবর্তী ঘূর্ণায়মান সভাপতিত্ব গ্রহণ করে কিরগিজস্তান।
এই সফরে মোদীর কূটনৈতিক তৎপরতা যেমন আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের অবস্থানকে জোরালো করেছে, তেমনি সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ব্যক্তিত্ব ও বিশ্বনেতাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কও আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে।

