আগরতলা, ১ সেপ্টেম্বর : বিরোধীদের পাশাপাশি সংবাদ মাধ্যমও শত্রু তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে। পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের এ-বিষয়ে সতর্ক থাকার নিদান দিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী কিশোর বর্মন।
আজ এডিনগরের পঞ্চায়েত রিসোর্স সেন্টারে পঞ্চায়েত রাজ দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক দু’দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের অনেক শত্রু রয়েছে। তা বিরোধী দলের হতে পারে, সংবাদমাধ্যমেরও হতে পারে। তাই সদা সতর্ক থাকতে হবে।
এই কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডঃ মানিক সাহা, পঞ্চায়েত মন্ত্রী কিশোর বর্মন-সহ রাজ্য সরকারের অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্তারা। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী কিশোর বর্মন পঞ্চায়েত জনপ্রতিনিধিদের নানা দিক থেকে সচেতন করেন এবং দায়িত্ব পালন মনে করিয়েছেন।
মন্ত্রীর মতে, পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের তিন ধরনের দায়িত্ব পালন করতে হবে। সামাজিক দায়িত্ব, রাজনৈতিক দায়িত্ব এবং প্রতিনিধিত্বমূলক দায়িত্ব। তিনি বলেন, এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রতিনিধি হিসেবে কর্মদক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি জনগণের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। একই ব্যক্তি বারবার সরকারি সুবিধা পাচ্ছেন, এমন ঘটনা যেন না ঘটে। প্রতিটি গ্রামবাসীর কাছে প্রকল্প পৌঁছে দেওয়াই লক্ষ্য হওয়া উচিত।
এদিন বিরোধীদেরও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি কিশোর বর্মন। তাঁর অভিযোগ, পূর্বতন সরকারের আমলে সরকারি প্রকল্পের নামে পঞ্চায়েত স্তরে দুর্নীতি ছিল চরমে। টাকা আত্মসাৎ হতো, সুবিধা পৌঁছাতো না সাধারণ মানুষের কাছে। বর্তমান সরকার এই প্রথা বন্ধ করেছে, জোর গলায় দাবি করেন তিনি।
মন্ত্রীর সাফ কথা, যে দলই বিধানসভায় থাকুক না কেন, যদি পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা নিজেদের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করেন, জনগণের সঙ্গে থাকেন, তবে তাদের জয় কেউ আটকাতে পারবে না। তিনি মনে করিয়ে দেন, চিরকাল কেউ ক্ষমতায় থাকে না। তবে যাঁরা সততার সঙ্গে কাজ করেন, তাঁরা গ্রামবাসীদের আজীবন সম্মান পান।
শেষে তিনি স্পষ্ট বার্তা দেন, স্বচ্ছতা ও সততার মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়নই হওয়া উচিত জনপ্রতিনিধিদের মূল লক্ষ্য। তাহলেই সরকারের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব।
এই কর্মশালার মাধ্যমে রাজ্যের পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের নতুনভাবে দায়িত্ব সচেতন ও জনমুখী করার বার্তা দিল রাজ্য সরকার।

