দিল্লিতে যমুনার জল বিপদসীমা অতিক্রম, হিমাচলে মৃত্যু ৩২০ ছাড়িয়েছে; টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তর ভারত

নয়াদিল্লি, ৩১ আগস্ট : দিল্লি ও হিমাচল প্রদেশে টানা ভারী বৃষ্টিপাতে পরিস্থিতি ক্রমেই সংকটজনক হয়ে উঠেছে। রবিবার সকালে দিল্লিতে যমুনা নদীর জলস্তর বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। শহরের জন্য সতর্কতা সীমা ২০৪.৫০ মিটার এবং বিপদসীমা ২০৫.৩৩ মিটার। এদিন সকালেই যমুনার জলস্তর এই সীমা ছাড়িয়ে যায় এবং এখনও তা বেড়েই চলেছে। দিল্লিতে বিগত কয়েকদিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় পূর্ব দিল্লির ময়ূর বিহারে বন্যা ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা অশোক জানান, “যারা যমুনার কাছাকাছি এলাকায় থাকেন, তারা বন্যার সময় ঘর ছেড়ে এসে এই ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেন।”

আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, আগামী ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দিল্লিতে আকাশ সাধারণত মেঘলা থাকবে এবং মাঝারি বৃষ্টি হবে। ৩ সেপ্টেম্বর বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি এবং ৪ ও ৫ সেপ্টেম্বর বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে।

এদিকে, হিমাচল প্রদেশে বর্ষার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৩২০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ । এর মধ্যে ১৬৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন ভূমিধস, আকস্মিক বন্যা ও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে, এবং ১৫৪ জন মারা গেছেন সড়ক দুর্ঘটনায়। এছাড়া, ৮৩৯টি রাস্তা, ৩টি জাতীয় সড়ক , ৭২৮টি বিদ্যুৎ ট্রান্সফর্মার এবং ৪৫৬টি জল সরবরাহ প্রকল্প এখনও অচল রয়েছে।

সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা চাম্বা, মান্ডি ও কুল্লু। চাম্বা জেলায় ২৮৬টি রাস্তা বন্ধ, ৩৬৩টি ডিটিআর অকেজো এবং ৯৩টি জল প্রকল্পে বিঘ্ন ঘটেছে। কুল্লুতে ১৭৫টি রাস্তা ও ২২৫টি ডিটিআর ক্ষতিগ্রস্ত এবং মান্ডি জেলায় ১৯৭টি রাস্তা ও ৫৬টি জল প্রকল্প বিপর্যস্ত হয়েছে। শিমলা ও সিরমৌর জেলাতেও উল্লেখযোগ্য ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।

স্টেট ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার জানিয়েছে, টানা বৃষ্টি ও দুর্গম এলাকার কারণে উদ্ধার ও মেরামতের কাজে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। তবে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাজ্য প্রশাসন পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।