টোকিও, ২৯ আগস্ট: জাপান সফরে পৌঁছেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টোকিওতে পৌঁছানোর পর তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান “বিশেষ কৌশলগত ও বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব” আরও জোরদার করতে এ সফরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইশিবা এক্স (পূর্বতন টুইটার)-এ লেখেন, “ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীকে জাপানে স্বাগত জানাই। আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারত-জাপান সম্পর্ক আরও মজবুত করার বিষয়ে আলোচনা করবো।”
প্রধানমন্ত্রী মোদীও টোকিও পৌঁছে এক্স-এ লেখেন, “টোকিওতে অবতরণ করলাম। ভারত ও জাপান যেভাবে উন্নয়ন সহযোগিতা আরও দৃঢ় করছে, তাতে আমি আশাবাদী যে এই সফরে প্রধানমন্ত্রী ইশিবা ও অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হবে এবং নতুন সহযোগিতার দিক উন্মোচিত হবে।”
আজই প্রধানমন্ত্রী মোদী ও প্রধানমন্ত্রী ইশিবার মধ্যে প্রথম আনুষ্ঠানিক শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি একটি কর্মরত নৈশভোজ এবং মিয়াগি প্রিফেকচারে যৌথ সফরের পরিকল্পনাও রয়েছে। এই সফর মোদীর অষ্টম জাপান সফর। তিনি শেষবার জাপানে গিয়েছিলেন ২০২৩ সালের মে মাসে। এর আগে দু’জন নেতার দেখা হয়েছিল ২০২৫ সালের জুনে কানাডার কানানাসকিসে অনুষ্ঠিত জি৭ সম্মেলনের ফাঁকে এবং গত বছর লাওসের ভিয়েনতিয়ানে ২১তম আসিয়ান-ভারত সম্মেলনে।
আজ সকালে টোকিওতে একটি বাণিজ্যিক অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেখানে জাপান-ভারতের গভীর অর্থনৈতিক সম্পর্কের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন:
“যেভাবে আমরা গাড়ি শিল্পে একযোগে কাজ করেছি, ঠিক তেমনই ব্যাটারি, রোবোটিক্স, সেমিকন্ডাক্টর, জাহাজ নির্মাণ, পারমাণবিক শক্তি ক্ষেত্রেও যৌথভাবে কাজ করার সম্ভাবনা বিপুল।”
তিনি আরও বলেন: “এই শতকের প্রযুক্তি বিপ্লবে ভারতীয় ট্যালেন্ট ও জাপানি টেকনোলজির সমন্বয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। সবুজ শক্তি, পরবর্তী প্রজন্মের পরিকাঠামো, স্কিল ডেভেলপমেন্ট এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক – এসব ক্ষেত্রেও যৌথ উদ্যোগে দারুণ সাফল্য সম্ভব।” অনুষ্ঠানে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইশিবাও উপস্থিত ছিলেন, যা এই অনুষ্ঠানের গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে তোলে।
.