সুপ্রিম কোর্টে পিআইএল: কংগ্রেসের ‘সংবিধান-বিরোধী প্রচার’ বন্ধ ও দল বাতিলের দাবি

নয়াদিল্লি, ২২ আগস্ট : ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস (আইএনসি)-কে ‘সংবিধান-বিরোধী’ প্রচার চালানোর অভিযোগে দল থেকে ডি-রেজিস্টার (নিবন্ধন বাতিল) করার দাবিতে এক জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। পিটিশনে অভিযোগ করা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে কংগ্রেসের নেতাদের প্রচারসংবিধান লঙ্ঘন করছে এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পবিত্রতাকে ক্ষুণ্ণ করছে।

সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হওয়া এক জনস্বার্থ মামলায় অভিযোগ তোলা হয়েছে যে, ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস (আইএনসি) নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে ‘সংবিধান-বিরোধী’ প্রচার চালাচ্ছে, যা কমিশনের সাংবিধানিক কর্তৃত্বকে খাটো করছে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বেআইনি হস্তক্ষেপ করছে। পিটিশনে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ রিভিশন সংক্রান্ত একটি মামলা যখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন, সেই সময় কংগ্রেস নেতৃত্বের “ভোট চোর” মন্তব্য ও প্রচার সংবিধান ও আইন লঙ্ঘন করে।

এই মামলায় সরাসরি অভিযোগ আনা হয়েছে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে ও লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে, যাঁদের বিরুদ্ধে দাবি করা হয়েছে যে তাঁরা ভারতের সংবিধানের প্রতি কোনো আনুগত্য রাখেন না এবং তাঁদের নেতৃত্বে দলটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বেআইনি প্রচার চালাচ্ছে। মামলার আবেদনকারী সতীশ কুমার আগরওয়াল, যিনি অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার প্রাক্তন সহ-সভাপতি, দাবি করেছেন যে কংগ্রেস তাদের নিজস্ব সংবিধানের দ্বিতীয় ধারা এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন, ১৯৫১-এর ধারা ২৯এ ভঙ্গ করেছে, যেখানে সংবিধানের প্রতি আনুগত্য থাকা বাধ্যতামূলক। পিটিশনে তিনটি প্রধান দাবি জানানো হয়েছে— এক, নির্বাচন কমিশন যেন কংগ্রেসের নিবন্ধন বাতিল করে; দুই, কংগ্রেস নেতৃত্বের বিরুদ্ধে “সংবিধান-বিরোধী প্রচার” তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠন করা হোক; এবং তিন, মল্লিকার্জুন খাড়গে ও রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক। মামলাটি এখনও শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত হয়নি, তবে রাজনৈতিক মহলে এই বিষয়টি নিয়ে প্রবল আলোড়ন তৈরি হয়েছে। কংগ্রেস এখনো এই মামলার বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।