ধর্মনগর, ২২ আগস্ট: উত্তর জেলায় নির্দিষ্ট একটি রুটে অবৈধ বার্মিজ সিগারেট পাচার চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মিজোরাম থেকে দামছড়া হয়ে পানিসাগর, তিলথৈ ও যুবরাজনগরের আনন্দবাজার পেরিয়ে কৈলাশহর ও কুমারঘাট পর্যন্ত এই রাস্তাটি এখন পাচারের নিরাপদ করিডোর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পুলিশের নীরব সহযোগিতা ও মাসোহারা বাণিজ্যের মাধ্যমে এসব অবৈধ সিগারেট শুধুমাত্র রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নয়, বাংলাদেশেও পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। যদিও মাঝে মধ্যে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ছে চালান। যেমন ১১ জুলাই ভোরে কৈলাশহর পুলিশ আটক করে ৮৩ কার্টুন বার্মিজ সিগারেট, বাজারমূল্য প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা। আবার ৬ আগস্ট চিনি বাগান নাকায় পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে উদ্ধার হয় ৩৯ কার্টুন সিগারেট, বাজারমূল্য প্রায় ২০ লক্ষ টাকা।
তবে স্থানীয়দের প্রশ্ন, দামছড়া, পানিসাগর ও যুবরাজনগরের আনন্দবাজার নাকা পয়েন্টে সবসময় পুলিশি চেকিং থাকা সত্ত্বেও কীভাবে লরি বোঝাই সিগারেট সহজেই কৈলাশহরে পৌঁছে যায়? অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে পাচারকারীরা নির্দিষ্ট রুট ব্যবহার করলেও পুলিশ দেখেও না দেখার ভান করে। এমনকি নাকা পয়েন্টে প্রতিটি গাড়ির কাগজপত্র ও মালামাল তল্লাশি করা হলেও, সিগারেট বোঝাই গাড়ি পার হয়ে যায় সহজেই।
গতকাল রাতেও একই ঘটনা ঘটে। আনন্দবাজার নাকা পয়েন্টে পুলিশ আটক করে ১৭ কার্টুন বার্মিজ সিগারেট, তবে গোপন সূত্রে জানা যায় প্রায় ৩০০ কার্টুন পাচারকারীরা পার করে দিতে সক্ষম হয়েছে পুলিশের নীরব সহযোগিতায়। যদিও ধর্মনগর থানার ওসি মিনা দেববর্মা এ বিষয়ে কোনো তথ্য জানেন না বলে দাবি করেছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিরাতে দ্রুতগতিতে পাচারকারীরা নেশাজাতীয় সামগ্রী বহন করলেও রাতের টহলদার বাহিনীর নজরে কিছুই আসে না। এর ফলে উত্তর জেলার পাহাড়ি ও সমতল অঞ্চলে বার্মিজ সিগারেট, সুপারি, এমনকি গরু পর্যন্ত অনায়াসে প্রবেশ করছে। এতে ধ্বংসের পথে যাচ্ছে যুবসমাজ।
জনগণের দাবি, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যেন কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে নাকা পয়েন্টগুলোতে কড়া নজরদারি ও তল্লাশির ব্যবস্থা করেন। তবেই অবৈধ সামগ্রী রোধ হবে এবং নেশার কবল থেকে যুব সমাজকে বাঁচানো সম্ভব হবে।

