শেষ মুহূর্তে এিপুরা সরকারি শিক্ষক সমিতি (এইচ.বি.রোড)- র বিক্ষোভ কর্মসূচির জন্য অনুমতি দিল না প্রশাসন, আরো বৃহত্তর আন্দোলনে হুশিয়ারি সমিতির

আগরতলা, ১৯ আগস্ট: এিপুরা সরকারি শিক্ষক সমিতি (এইচ.বি.রোড)- র উদ্যোগে আজ রাজধানী আগরতলায় ৯ দফা দাবির ভিত্তিতে এক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সারা রাজ্য থেকে এই আন্দোলনের শামিল হতেন বাম শিক্ষকেরা। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সেই আন্দোলনের অনুমতি দিল না প্রশাসন। আজ এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের এহেন ভূমিকায় ক্ষোভ উগরে দিলেন ত্রিপুরা সরকারি শিক্ষক সমিতি ( এইচ. বি রোড)।

এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে সমিতির নেতৃত্ব জানিয়েছেন, গত দু মাস ধরে গোটা রাজ্যে পোস্টারিং এর মাধ্যমে এই মহা মিছিলের প্রচার করা হয়েছে। এছাড়াও আটটি জেলাতেই জেলাস্তরের শিক্ষা অধিকর্তার নিকট ৯ দফা দাবিতে ডেপুটেশন প্রদান করা। আজ গোটা রাজ্যের ত্রিপুরা সরকারি শিক্ষক সমিতির সদস্যদের উপস্থিতিতে আগরতলায় এক মহা মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী বেশ কয়েকদিন আগেই প্রশাসনের নিকট অনুমতি চেয়ে আবেদন পত্র জমা করা হয়েছে। কিন্তু গতকাল সন্ধ্যার পর বিক্ষোভ মিছিলের কয়েক ঘন্টা আগে একটি চিঠির মাধ্যমে জানিয়ে দেয় মিছিলের জন্য অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। এর ফলে প্রশাসনের এহেন ব্যবহারে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এই মহা মিছিল ভেস্তে দিলেও আগামী কিছুদিনের মধ্যে আরও বৃহত্তর আকারে এই আন্দোলন সংঘটিত করা হবে বলে জানিয়েছেন সমিতির নেতৃত্বরা।

এই নয় দফা দাবি গুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল, শিক্ষক শিক্ষিকাদের বকেয়া মহার্ঘভাতা (ডি এ) অবিলম্বে মিটিয়ে দিতে হবে। অনতিবিলম্বে ত্রিপুরা রাজ্য বেতন কমিশন গঠন করে কেন্দ্রিয় হারে বেতন ভাতার পূর্নবিন্যাস করতে হবে। টি আর বি টি’র মাধ্যমে নিযুক্ত শিক্ষক শিক্ষিকাদের চাকুরির প্রথমদিন থেকেই নিয়মিত বেতনক্রম প্রদান করতে হবে। এন পি এস, ইউ পি এস বাতিল করে পুরনো পেনশন পদ্ধতি পুনরায় চালু করতে হবে।
অবিলম্বে রাজ্যের প্রতিটি বিদ্যালয়ে নূন্যতম একজন করে ক্রীড়াশিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। ১০৩২৩ ভূক্ত চাকুরিচ্যুত শিক্ষকদের অবিলম্বে বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ বাতিল করতে হবে। ত্রিপুরা উচ্চ আদালতের নির্দেশ মেনে সমগ্র শিক্ষায় (এস এস এ) নিযুক্ত শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের নিয়মিত বেতনক্রম প্রদান করতে হবে। ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ কর্তৃক পরিচালিত বিদ্যালয়গুলিতে উচ্চমাধ্যমিকস্তরে শারীর শিক্ষাকে একটি পূর্ণাঙ্গ বিষয় হিসেবে চালু করতে হবে।