মিহিরের পরিবারের পাশে দাঁড়ালো সরকার, পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে ব্যক্তিগতভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বিধায়িকা কল্যাণী রায়ও

আগরতলা, ৭ আগস্ট: তেলিয়ামুড়ার চাকমাঘাটে দুর্ঘটনায় নিহত কাঞ্চনপুর দশদা, বড়হলদি এলাকার লরিচালক মিহির লাল দেবনাথের পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানাতে আজ তাঁর বাড়িতে উপস্থিত হন রাজ্যের দুই মন্ত্রী টিংকু রায় ও সান্তনা চাকমা। মিহির লাল দেবনাথের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে মন্ত্রী টিংকু রায় ও সান্তনা চাকমা, সরকারি সহায়তা হিসেবে ৬ লক্ষ টাকা মিহিরের পিতার হাতে তুলে দিয়েছেন।
ব্যক্তিগতভাবে এদিন বিধায়িকা কল্যাণী রায়ও পরিবারটির পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি মিহিরের বাবা – মায়ের সঙ্গে দেখা করেন ৫০ হাজার টাকার আর্থিক সাহায্য তুলে দিয়েছেন।

এদিন মন্ত্রীরা মিহির লাল দেবনাথের বাসভবনে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন এবং রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষিত আর্থিক সহায়তা হিসেবে মিহির লালের পিতার হাতে ৬ লক্ষ টাকার চেক প্রদান করেন। সরকারি প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রীদ্বয়ের সাথে উপস্থিত ছিলেন উত্তর জেলাশাসক ও সমাহর্তা চাঁদনী চন্দন,
কাঞ্চনপুরে মহকুমা শাসক ডক্টর দীপক কুমার। এই উপস্থিতি পরিবারের প্রতি আন্তরিক সহানুভূতির প্রতিফলন ঘটিয়েছে বলে স্থানীয় মানুষজন জানান। মন্ত্রীরা পরিবারটির পাশে ভবিষ্যতেও সব ধরনের সহায়তা থাকবে বলে আশ্বাস দেন।

সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী টিংকু রায় জানান পরিবারের সদস্যদের যে কোনো ধরনের সহায়তা প্রদান করতে রাজ্য সরকার উনাদের পাশে থাকবে। এবং উনার পিতার জন্য সামাজিক ভাতা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন।
দুঃখের দিনে পরিবারের পাশে কল্যাণী রায়, ব্যক্তিগত সহায়তা হিসেবে ৫০ হাজার টাকা তুলে দিয়েছেন।

এদিকে তেলিয়ামুড়ার বিধায়িকা তথা রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতন কল্যাণী রায় বৃহস্পতিবার মিহির লাল দেবনাথের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানান বিধায়িকা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ত্রিপুরা ট্রাইবাল এরিয়া অটোনোমাস ডিস্ট্রিক কাউন্সিল-এর এমডিসি শৈলেন্দ্র নাথ এবং কাঞ্চনপুর মন্ডলের একাধিক নেতৃত্ব।

বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধায়িকা কল্যাণী রায় বলেন,“সন্তান হারানোর যন্ত্রণা কোনো কিছুর সঙ্গে তুলনীয় নয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে এই শোকস্তব্ধ পরিবারের পাশে আছি।” তিনি তাঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগে মৃত চালকের পরিবারের হাতে ৫০ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তাও তুলে দেন। পাশাপাশি বিধায়িকা এলাকার সাধারণ মানুষ ও সমাজের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন নাগরিকদের এই শোকাবহ সময়ে পরিবারটির পাশে থাকার আহ্বান জানান।