মণিপুরে কংপোকপিতে ‘পিস অ্যান্ড ফ্রেন্ডশিপ’ ভলিবল টুর্নামেন্টে ৩০টিরও বেশি দল অংশগ্রহণ করল; শান্তি এবং ঐক্যের প্রচারে গুরুত্ব

ইমফল, ৪ অগাস্ট : ১৬তম অসম রাইফেলস এবং কংপোকপি যুব সংঘ , মণিপুরের সহযোগিতায় কংপোকপি জেলা সদর দফতরের স্পোর্টস কমপ্লেক্সে শুরু হয়েছে ‘পিস অ্যান্ড ফ্রেন্ডশিপ মেনস ভলিবল টুর্নামেন্ট’, যা সমাজে একতা এবং যুবদের সক্রিয় অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করতে আয়োজন করা হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ১৬তম অসম রাইফেলসের কমান্ড্যান্ট কর্নেল সানদীপ শর্মা এবং কংপোকপির বিভিন্ন নাগরিক সমাজ সংগঠনের নেতারা। তাদের উপস্থিতি এই অঞ্চলে তৃণমূল ক্রীড়া কার্যক্রমের গুরুত্ব এবং শান্তি ও সামাজিক সঙ্গতি স্থাপনের ক্ষেত্রে ক্রীড়ার ভূমিকা বৃদ্ধি পাচ্ছে তা প্রতিফলিত করেছে।

কংপোকপি ও আশপাশের এলাকাগুলি থেকে ৩০টিরও বেশি ভলিবল দল এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেছে, যার জন্য সমস্ত অংশগ্রহণকারীদের জন্য প্রবেশ ফি মুক্ত। এই ইভেন্টটি কেবল প্রতিযোগিতামূলক ক্রীড়া নিয়ে উচ্ছ্বাস আনছে না, বরং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের যুবকদের মধ্যে একতা এবং শান্তি স্থাপনের একটি মঞ্চ হিসেবে কাজ করছে।

টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচটি ছিল পিএমএ কংপোকপি এবং মোটবং দলের মধ্যে। মোটবং দল ২৫-১৮, ২৫-২০ এবং ২৫-২১ স্কোরে সরাসরি জয় লাভ করে, যা প্রতিযোগিতার জন্য শক্তিশালী সূচনা করেছে।

টুর্নামেন্টের আয়োজনকারীরা খেলার উৎকর্ষতা এবং নীতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বেশ কিছু আকর্ষণীয় পুরস্কারের ঘোষণা করেছেন। চ্যাম্পিয়ন দলকে ৩০,০০০ নগদ পুরস্কার, একটি ট্রফি, মেডেল এবং সনদপত্র দেওয়া হবে। রানার-আপ দলকে ২০,০০০ নগদ পুরস্কার, একটি ট্রফি, মেডেল এবং সনদপত্র প্রদান করা হবে। এছাড়া, টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়কে একটি ট্রফি, মেডেল এবং সনদপত্রের মাধ্যমে সম্মানিত করা হবে। এই পুরস্কারগুলো প্রতিযোগিতার মান উন্নত করতে এবং খেলোয়াড়দের প্রতিভার স্বীকৃতি দিতে সহায়তা করবে।

আয়োজকরা বলেছেন, এই টুর্নামেন্ট শুধু বিজয়ী হওয়ার জন্য নয়, বরং শান্তি, বন্ধুত্ব এবং সম্প্রদায়িক ঐক্য প্রতিষ্ঠার জন্য। উৎসাহ ও উত্তেজনা দেখে মনে হচ্ছে, পরবর্তী ম্যাচগুলিতে আরও দারুণ পারফরম্যান্স দেখা যাবে, যেখানে দলগুলি আকাঙ্ক্ষিত শিরোপার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।

‘পিস অ্যান্ড ফ্রেন্ডশিপ ভলিবল টুর্নামেন্ট’ শান্তি এবং একতা প্রতিষ্ঠায় ক্রীড়ার শক্তির এক গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি সংঘাতপ্রবণ অঞ্চলে পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নত করতে এবং দীর্ঘস্থায়ী বন্ধন তৈরি করতে সক্ষম। ক্রীড়া শুধুমাত্র বিনোদনের মাধ্যম নয়, বরং এটি মানুষকে একত্রিত করে একটি শক্তিশালী সামাজিক বন্ধন তৈরি করতে সাহায্য করে, যা এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে কংপোকপি এবং আশপাশের অঞ্চলে প্রতিফলিত হচ্ছে।