নয়াদিল্লি, ৩১ জুলাই : তেলেঙ্গানা বিধানসভার অধ্যক্ষকে তিন মাসের মধ্যে ১০ জন ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস) বিধায়কের দলত্যাগ সংক্রান্ত অযোগ্যতা মামলায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। এই ১০ জন বিধায়ক গত বছর রাজ্যের শাসক দল কংগ্রেস দলে যোগ দিয়েছেন।
প্রধান বিচারপতি বি.আর. গাভাই-এর নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি শেষে ওই নির্দেশ দিয়েছে। মামলাটি করেছিলেন বিআরএস দলের কার্যকরী সভাপতি কে.টি. রামা রাও, দলের আরও কয়েকজন বিধায়ক এবং বিধানসভায় বিজেপি-র দলনেতা এ. মাহেশ্বর রেড্ডি।
সুপ্রিম কোর্টে বিআরএস নেতারা আবেদন জানান, অধ্যক্ষকে দ্রুত অযোগ্যতা সংক্রান্ত আবেদনের নিষ্পত্তি করতে বলা হোক। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে এবং নির্দেশ দেয়, যত দ্রুত সম্ভব এবং অবশ্যই তিন মাসের মধ্যে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ তেলেঙ্গানা হাই কোর্টের আগের রায়ও খারিজ করে দেয়। ওই রায়ে বলা হয়েছিল, আদালত অধ্যক্ষকে সময়সীমা বেঁধে দিতে পারে না। সর্বোচ্চ আদালত স্পষ্ট করে জানিয়েছে, অধ্যক্ষকে কোনও সাংবিধানিক বিশেষাধিকারভুক্ত নন, তিনি কার্যত একটি ট্রাইব্যুনালের ভূমিকা পালন করছেন।
বিআরএস-র পক্ষের আইনজীবী মোহিত কে. রাও জানান, যদি কোনও বিধায়ক অযোগ্যতা প্রক্রিয়া বিলম্বিত করার চেষ্টা করেন, তাহলে অধ্যক্ষকে তাঁদের বিরুদ্ধে নেতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট পর্যবেক্ষণে বলেছে, যদি অধ্যক্ষ পাঁচ বছর ধরে কোনও সিদ্ধান্ত না নিয়ে আবেদনগুলো ঝুলিয়ে রাখেন, তবে তা গণতন্ত্রের ভিত্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে হাই কোর্টের একক বেঞ্চ অধ্যক্ষকে চার সপ্তাহের মধ্যে শুনানির সময়সূচি প্রকাশ করতে নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু নভেম্বর মাসে বিধানসভা সচিবের আবেদনে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ওই আদেশ বাতিল করে দেয় এবং সংবিধানের ১০ নম্বর তফসিল অনুযায়ী ‘উপযুক্ত সময়ের মধ্যে’ সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দেয়।
বিআরএস ওই রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় এবং দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ চায়। প্রসঙ্গত, প্রধান বিরোধী দল হিসেবে বিআরএস অধ্যক্ষ গাড্ডাম প্রসাদ কুমারকে অনুরোধ জানায়, যেন গত বছর মার্চ থেকে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া ১০ জন বিআরএস বিধায়ককে অবিলম্বে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।
এই ১০ জন বিধায়ক হলেন, দানম নাগেন্দ্র (খৈরতাবাদ), তেল্লাম ভেঙ্কট রাও (ভদ্রাচলাম), কাদিয়াম শ্রীহারি (স্টেশন ঘনপুর), পোচারাম শ্রীনিবাস রেড্ডি (বাঁসওয়াড়া), এম. সঞ্জয় কুমার (জগতিয়াল), আরেকাপুদি গান্ধি (সেরিলিংগাম্পল্লি), টি. প্রকাশ গৌড় (রাজেন্দ্রনগর), বি. কৃষ্ণ মোহন রেড্ডি (গদওয়াল), জি. মহিপাল রেড্ডি (পটানচেরু) এবং কালে ইয়াদাইয়া (চেভেল্লা)।

