গন্ডাছড়া, ৩০ জুলাই : পুরোনো এক ঝগড়াকে কেন্দ্র করে প্রতিহিংসামূলক আক্রমণে গুরতর আহত এক যুবক। আহত যুবকের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয় একটি মোবাইল ফোন। সংবাদ লেখা পর্যন্ত গুরুতর আহত যুবক গন্ডাছড়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসারত রয়েছেন। নেশাখোর দুস্কৃতকারীর আক্রমণে মাথা ফেটে যায় ওই যুবকের। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে মনোরঞ্জনদাস পাড়ায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ গন্ডাছড়া মহকুমার মনোরঞ্জনদাস পাড়ার বাসিন্দা যুবক সেন্টু দাস(৩০)। মহকুমার মনোরঞ্জনদাস পাড়ার পিছলি গাছ চৌমুহনিতে ছোট্ট একটি মুদি দোকান চালিয়ে সংসার প্রতিপালন করে আসছে। অভিযোগ গত কয়েক মাস পূর্বে মহকুমার ষাটকার্ডের বাসিন্দা তথা গন্ডাছড়া বাজার লাগোয়া পাকা সেতুর পাড়ের মাংস বিক্রেতা সম্রাট দাসের সঙ্গে সেন্টু দাসের সামান্য কোন কিছু নিয়ে বচসা হয়। এর রেশ ধরে গত বেশ কিছুদিন ধরেই সম্রাট দাস নাকি সেন্টু দাসকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে আসছিলো। এরমধ্যে বুধবার সেন্টু দাস দোকানের বিভিন্ন মালামাল ক্রয়ের উদ্দেশ্যে গন্ডাছড়া বাজারে আসে। অটো স্ট্যান্ড -এর পাশে মানিক বনিকের দোকানের সামনে আসতেই পিছন দিক থেকে সেন্টু দাসের উপর আক্রমণ চালায় মহকুমার ষাটকার্ডের বাসিন্দা মাংস বিক্রেতা সম্রাট দাস।
কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই সম্রাটের লোহার রডের আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সেন্টু দাস। আক্রমণকারী গুরুতর আহত সেন্টুর পকেট থেকে দামী মোবাইলটিও ছিনিয়ে নেয়। রডের আঘাতে মাথা ফেটে রক্তাক্ত হওয়া সেন্টু দাসকে সঙ্গে সঙ্গে গন্ডাছড়া মহকুমা হাসপাতালে আনা হলে ফেটে যাওয়া মাথায় সেলাই সহ অন্যান্য চিকিৎসা করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসকরা জানান সেন্টুর মাথার আঘাত খুবই গুরতর। স্ক্যান করার জন্য বাইরে কোন চিকিৎসালয়ে পাঠানো হতে পারে। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেন্টুর পরিবার পরিজন সহ মনোরঞ্জনদাস পাড়ায় তুমুল উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। মামলা রুজু হয়েছে থানায়। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

