শান্তিরবাজার, ২৭শে জুলাই : শান্তির বাজার জেলা হাসপাতালে নয় মাস বয়সী এক শিশুকন্যার মৃত্যুকে ঘিরে আজ সকাল থেকে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, কর্তব্যরত চিকিৎসকের গাফিলতি এবং সময়মতো চিকিৎসা না পাওয়ার কারণেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ময়নাতদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানার কথা জানিয়েছে।
জানা গেছে, রবিবার আনুমানিক সকাল ৬টায় শান্তির বাজার মহকুমার কালাছড়া এলাকার বাসিন্দা রাজীব দাস তাঁর নয় মাসের কন্যা সন্তান দিকসা দাসকে নিয়ে শান্তির বাজার জেলা হাসপাতালে আসেন। পরিবারের সদস্যরা জানান, গতকাল রাত থেকেই দিকসা পেটের ব্যথায় ভুগছিল। হাসপাতালে আসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক দেবশ্রী রিয়াং শিশুটিকে দেখে দুটি ঔষধ লিখে দেন।
রাজীব দাস ঔষধগুলি দোকান থেকে কিনে ফেরার পথে একটি ঔষধ দিকসাকে খাওয়ান। পরিবারের অভিযোগ, এই ঔষধ খাওয়ানোর পরই দিকসা মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ে। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই দিকসাকে পুনরায় শান্তির বাজার জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু পরিবারের অভিযোগ, সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে না দেখেই তাঁর ডিউটি শেষ বলে চলে যান। পরিবারের লোকজনের দাবি, চিকিৎসক যদি সময়মতো দিকসাকে দেখতেন, তাহলে হয়তো সে বেঁচে যেত।
এদিকে, দিকসার মৃত্যুর খবর শুনে শান্তির বাজার জেলা হাসপাতালে ছুটে আসেন মহকুমার পুলিশ আধিকারিক, জেলা হাসপাতালের এমএস সহ অন্যান্য পদস্থ কর্মকর্তারা। এই বিষয়ে জেলা হাসপাতালের এমএস জে এস রিয়াং-এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, ঘটনার খবর পাওয়ামাত্র তিনি জেলা হাসপাতালে ছুটে আসেন এবং সকলের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার বিবরণ জানতে পারেন। তিনি আরও জানান, ছোট শিশুটিকে যথাসময়ে চিকিৎসকরা দেখেছেন এবং মৃতদেহ ময়নাতদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। সকলের উপস্থিতিতে শিশুটির মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের লোকজনের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ এবং চিকিৎসায় কোনো গাফিলতি ছিল কিনা, তা স্পষ্ট হবে।
2025-07-27

