সৈন্যদের জন্য নালসা’র নতুন আইনি সহায়তা প্রকল্প “নালসা বীর পরিবার সহায়তা যোজনা ২০২৫”

নয়াদিল্লি, ২৬ জুলাই : ভারতের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো, সৈন্যদের পরিবারকে সক্রিয়ভাবে আইনি সহায়তা প্রদান করা হবে। “নালসা বীর পরিবার সহায়তা যোজনা ২০২৫” নামক এই নতুন উদ্যোগটির লক্ষ্য হল ভারতীয় সৈন্যদের দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে কর্তব্যরত থাকাকালীন পারিবারিক আইনি বোঝা থেকে মুক্তি দেওয়া। এই যুগান্তকারী বিচার বিভাগীয় পদক্ষেপের মাধ্যমে স্পষ্ট বার্তা হলো: “আপনি সীমান্তে দেশের সেবা করুন, আমরা বাড়িতে আপনার পরিবারের যত্ন নেব।”

আজ শ্রীনগরে একটি সম্মেলনে ন্যাশনাল লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটি-এর কার্যনির্বাহী চেয়ারম্যান এবং ভারতের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি বিচারপতি সূর্য কান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রকল্পের সূচনা করেন।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল, জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা এবং জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ।

এই কর্মসূচির উৎপত্তি ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পরে। এনডিটিভি-কে সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিচারপতি সূর্য কান্ত অপারেশন চলাকালীন সশস্ত্র বাহিনীর আত্মত্যাগে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন এবং বিচার বিভাগ কীভাবে তাদের কল্যাণে আরও সরাসরি অবদান রাখতে পারে, তা নিয়ে গবেষণা শুরু করেন।

সূত্র মতে, বিচারপতি সূর্য কান্ত মন্তব্য করেছেন যে, দেশের সুরক্ষায় নিযুক্ত সৈন্যরা ব্যক্তিগত আইনি সংকটে একা না থাকেন, তা নিশ্চিত করার জন্য আইনি ভ্রাতৃত্বকে তার ভূমিকা পালন করতে হবে।

এই চিন্তাটি পরবর্তীকালে নালসা বীর পরিবার সহায়তা যোজনায় পরিণত হয়েছে, যা বিচারপতি কান্ত ২৪শে নভেম্বরের মধ্যে ভারতের প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আগে চালু করতে প্রস্তুত।

এই নতুন প্রকল্পটি দীর্ঘদিনের একটি সমস্যা সমাধানের জন্য তৈরি করা হয়েছে: বিচ্ছিন্ন এলাকায় মোতায়েন সৈন্যদের প্রায়শই পারিবারিক সম্পত্তি, গার্হস্থ্য বিবাদ বা ভূমি সংক্রান্ত আইনি মামলাগুলি অনুসরণ করার ক্ষমতা থাকে না। উদাহরণস্বরূপ, জম্মু ও কাশ্মীর-এ মোতায়েন একজন সৈনিকের কেরালা বা তামিলনাড়ুতে বাড়িতে আদালত কার্যক্রমে উপস্থিত হওয়ার জন্য সীমিত বা শূন্য ছুটি থাকতে পারে।

এই প্রকল্পের আওতায়, নালসা দেশের বিভিন্ন আদালতে এই ধরনের মামলাগুলির সঠিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হস্তক্ষেপ করবে।

এই সহায়তা সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী, সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স, ইন্দো-তিব্বত বর্ডার পুলিশ এবং অন্যান্য আধাসামরিক কর্মীদের জন্যও প্রযোজ্য হবে, যাঁরা একই ধরনের বিচ্ছিন্ন এবং উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে সেবা করেন।