বছর বাঁচাও পরীক্ষার ফলাফলে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের পাশের হার বেড়েছে : পর্ষদ সভাপতি

আগরতলা, ২৪ জুলাই: বছর বাঁচাও পরীক্ষার ফলাফলে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের পাশের হার বেড়েছে। আজ সাংবাদিক সম্মেলনের এবিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে পর্ষদ সভাপতি ড. ধনঞ্জয় গণ চৌধুরী জানান, পাশের হার বেড়ে মাধ্যমিকে ৯২.৫১ শতাংশ এবং উচ্চমাধ্যমিকে ৮৮.২৪ শতাংশ হয়েছে।

এদিন তিনি জানান, এবছর উচ্চমাধ্যমিকে পুণঃমূল্যায়ণের পর ২৯৯৫ জন ছাত্র ছাত্রী বছর বাঁচাও পরীক্ষায় দেওয়ার যোগ্য ছিল। কিন্তু তিন বিভাগ মিলে মোট ২৭১০ জন পরীর্ক্ষার্থী বসেছিল। বাকিরা পরীক্ষায় বসেনি। তাতে পরীক্ষায় পাশ করেছে ১৯১৯ জন ছাত্র ছাত্রী। ফেল করেছে ৭৯১ জন। উচ্চমাধ্যমিকে বছর বাঁচাও পরীক্ষায় পাশের হার ৭০.৮১ শতাংশ।

একইভাবে মাধ্যমিককে পুণঃমূল্যায়ণের পর ৩১৫৫ জন ছাত্র ছাত্রী বছর বাঁচাও পরীক্ষাতে বসার যোগ্য ছিল। কিন্তু ২৭৭২ জন পরীক্ষায় বসেছিল। বাকিরা পরীক্ষায় বসেনি। তাতে পরীক্ষায় পাশ করেছে ১৭৫৭ জন ছাত্র ছাত্রী। ফেল করেছে ১০১৫ জন। তাতে মাধ্যমিকে বছর বাঁচাও পরীক্ষায় পাশের হার ৬৩.৩৮ শতাংশ।

এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে পর্ষদ সচিব বলেন, এবছর মাধ্যমিকে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২৯ হাজার ৬৭০ জন। ফাইন্যালে পাশ করেছে মোট ২৫ হাজার ৬৭৩ জন। পাশের হার দাঁড়িয়েছে ৮৬.৫৩ শতাংশ। তাছাড়া, পুন:মূল্যায়নের পর পাশের হার দাঁড়িয়েছিল ৮৬.৫৮ শতাংশ। আজ বছর বাচাঁও পরীক্ষার পর পাশ করেছে ১৭৫৭ জন। ফলে, মাধ্যমিকে মোট পরীক্ষার্থী পাশ করেছে ২৭৪৪৮ জন। পাশের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯২.৫১ শতাংশ।

তেমনি, এবছর উচ্চ মাধ্যমিকে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২১ হাজার ৫০৬ জন। তারমধ্যে পাশ করেছে ১৭ হাজার ৫২ জন। পাশের হার দাঁড়িয়েছে ৭৯.২৯ শতাংশ। পুনঃমূলায়নের পর পাশের হার কিছু বেড়ে ৭৯.৩২ শতাংশ দাঁড়িয়েছে। বছর বাঁচাও পরীক্ষায় পাশ করেছে ১৯১৯ জন।ফলে, উচ্চ মাধ্যমিকে মোট পরীক্ষার্থী পাশ করেছে ১৮৯৭৮ জন। বর্তমানে পাশের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৮.২৪ শতাংশ। বছর বাঁচাও ফলাফল পর্ষদের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে। এদিন তিনি আরও বলেন, আজকে ২০২৫ সালের বোর্ড পরীক্ষার যাবতীয় কর্মকাণ্ড সমাপ্ত হলো।

পর্ষদের সভাপতি জানান, যেসকল ছাত্র ছাত্রী অন্য বোর্ড থেকে পাশ করে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বসবে, তাদের প্রথমে ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ থেকে অনুমতি নিতে হবে।