আগরতলা, ২২ জুলাই : শিক্ষা ছাড়া কোনো পরিবারের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়। এই প্রেরণাদায়ী বার্তা নিয়েই পাহাড়ি জনপদ থেকে সমতল অঞ্চলের সর্বত্র নিরবিচারে ছুটে চলেছেন ত্রিপুরা রাজ্যের জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা। তারই অঙ্গ হিসেবে সম্প্রতি তেলিয়ামুড়া আর.ডি. ব্লকের অন্তর্গত নয়নপুর এলাকায় জনসংলাপে অংশ নিলেন তিনি।
এদিন নয়নপুর বাজার সংলগ্ন এলাকায় এক ঘরোয়া বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে মিশে যান মন্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন পুরুষ ও মহিলারা। সকলেই এলাকার বাস্তব সমস্যাগুলি অকপটে তুলে ধরেন মন্ত্রীর সামনে। এলাকার নাগরিক পরিকাঠামো, নয়নপুর বাজারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা, মহিলাদের স্বনির্ভরতা, যুব সমাজের ভবিষ্যৎ—বৈঠকে উঠে আসে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।নয়নপুর বাজারের কিছু পুরনো সমস্যা সম্পর্কে সরাসরি অবগত হয়ে মন্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন এবং বিধায়ক তহবিল থেকে আর্থিক সহায়তার আশ্বাসও দেন বাজার ব্যবসায়ীদের।মহিলাদের স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কথাও আলোচনায় উঠে আসে।
তিনি জানান, রাজ্য সরকার মহিলাদের আর্থিক ও সামাজিকভাবে শক্তিশালী করে তুলতে একাধিক প্রকল্প ইতিমধ্যেই চালু করেছে এবং নয়নপুর এলাকায়ও তা বাস্তবায়নের দিকেই এগোবে সরকার।শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, “শিক্ষা ছাড়া সমাজ গঠন সম্ভব নয়। শিক্ষা-ই পরিবার, সমাজ এবং জাতির অগ্রগতির মূল চাবিকাঠি।” সেইসঙ্গে তিনি যুব সমাজকে নেশার কবল থেকে রক্ষা করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “শুধু সরকার নয়, সমাজের প্রতিটি সচেতন মানুষেরই দায়িত্ব যুব সমাজকে সঠিক পথে ফেরানো।
তিনি আরও বলেন, রাজ্য সরকার শিক্ষার পাশাপাশি খেলাধুলাকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে, কারণ খেলাধুলার মাধ্যমে যুব সমাজকে সুস্থ ও গঠনমূলক জীবনের দিকে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। “সুস্থ যুব সমাজই গড়ে তুলবে সুস্থ ত্রিপুরা”—এই বার্তা তুলে ধরেন তিনি। এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ২৯ কৃষ্ণপুর মণ্ডলের সভাপতি ধনঞ্জয় দাস, সহ-সভাপতি গোপাল দাস, মহিলা মোর্চার নেত্রী সবিতা দাসসহ অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা।

