মিজোরাম থেকে প্রায় ৩,০০০ মিয়ানমার শরণার্থী নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন

আইজল, ১৭ জুলাই : মিয়ানমার থেকে সম্প্রতি মিজোরামে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ৩,০০০ শরণার্থী তাদের নিজ গ্রামে ফিরে গেছেন। বৃহস্পতিবার এক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে চিন ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স এবং চিনল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্স নামের চিন বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো চিন ন্যাশনাল আর্মির সমর্থনে সশস্ত্র সংঘাতে লিপ্ত হয়। এই সংঘাতের জেরে মিয়ানমার থেকে ৪,৫০০ জনেরও বেশি শরণার্থী মিজোরামে প্রবেশ করে এবং চাম্ফাই জেলার জোখাওথার, সাইখুম্ফাই এবং ভাইফাই সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে আশ্রয় নেয়। এই শরণার্থীরা মূলত মিয়ানমারের চিন রাজ্যের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলির বাসিন্দা।

পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বুধবার পর্যন্ত জোখাওথার গ্রামে আশ্রয় নেওয়া ২,৯২৩ জন এবং ভাফাইয়ের আরও ৩৯ জন মিয়ানমার শরণার্থী তাদের দেশে ফিরে গেছেন। তিনি জানান, গত ৭ই জুলাই থেকে এই প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল এবং ১২ই জুলাই যুদ্ধরত চিন গোষ্ঠীগুলির মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরের পর এটি আরও গতি লাভ করে। কর্মকর্তা আরও বলেন, বর্তমানে ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে এবং আশা করা হচ্ছে যে আগামী দিনগুলিতে আরও কিছু শরণার্থী ফিরে যাবেন।

মিজোরাম মিয়ানমারের সাথে ৫১০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি উন্মুক্ত সীমান্ত ভাগ করে। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুতত্থানের পর থেকে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ৩২,০০০ জনেরও বেশি শরণার্থীকে মিজোরাম ইতিমধ্যেই আশ্রয় দিয়েছে। এই শরণার্থীরা মূলত চিন সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত, যাদের মিজোদের সাথে জাতিগত সম্পর্ক রয়েছে। রাজ্য সরকার আগামী জুলাই মাসের শেষ নাগাদ এই মিয়ানমার শরণার্থীদের বায়োমেট্রিক এবং জনসংখ্যাগত তথ্য সংগ্রহ করার পরিকল্পনা করছে, যা তাদের পরিচয় যাচাইয়ে সহায়ক হবে।