রামতীর্থ পাহাড়ে গুহা থেকে উদ্ধার রুশ নারী ও তার দুই কন্যা, ২০১৭-এ মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসা

গোকর্ণা, ১৩ জুলাই:
উত্তর কানাড়া জেলার কুমটা তালুকের রামতীর্থ পাহাড়ের এক দুর্গম গুহা থেকে এক রুশ নারী ও তার দুই কন্যাকে উদ্ধার করেছে কর্ণাটক পুলিশ। ওই নারী ২০১৭ সালে মেয়াদ শেষ হওয়া একটি ব্যবসায়িক ভিসায় ভারতে প্রবেশ করেছিলেন।
পুলিশ থেকে জানা গিয়েছে, ৪০ বছর বয়সী ওই নারীর নাম নিনা কুটিনা, যিনি ‘মোহি’ নামেও পরিচিত। হিন্দু ধর্ম ও ভারতীয় আধ্যাত্মিকতার প্রতি গভীর আকর্ষণে তিনি রাশিয়া থেকে গোয়া হয়ে গোকর্ণায় এসেছিলেন।
তার দুই কন্যা — ৬ বছরের প্রেয়া ও ৪ বছরের আমা — মায়ের সঙ্গে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে গভীর অরণ্যে একটি প্রাকৃতিক গুহায় একান্তবাসে ছিলেন। গুহার ভেতরে একটি রুদ্র মূর্তি রেখে মোহি প্রতিদিন পূজা ও ধ্যান করতেন বলে জানা গিয়েছে।
শুক্রবার স্থানীয় পুলিশ একটি ভূমিধস সংক্রান্ত নিয়মিত টহল চালানোর সময় রামতীর্থ পাহাড়ের গুহার বাইরে কাপড় শুকাতে দেওয়া দেখতে পান। সন্দেহ হওয়ায় সার্কেল ইন্সপেক্টর শ্রীধর ও তার দল গুহার ভিতর প্রবেশ করে মোহি ও তার সন্তানদের উদ্ধার করেন।
উত্তর কানাড়া জেলার পুলিশ সুপার এম নারায়ণ পিটিআই-কে জানিয়েছেন, “গুহার বাইরের দৃশ্য দেখে আমরা সেখানে যাই এবং ওই নারী ও তার সন্তানদের খুঁজে পাই। কীভাবে তারা খাদ্য সংগ্রহ করছিলেন, সেটাই সবচেয়ে বিস্ময়কর বিষয়।”
তিনি আরও বলেন, “ওই নারী সম্ভবত গোয়া থেকে হেঁটে গুহায় পৌঁছেছিলেন। তার ভিসার মেয়াদ ২০১৭ সালেই শেষ হয়েছে। ভারতে ঠিক কতদিন ধরে তিনি আছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।”
বর্তমানে মোহিকে একটি সাধ্বীর পরিচালিত আশ্রমে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গোকর্ণা থেকে বেঙ্গালুরুতে নিয়ে গিয়ে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া এবং ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। স্থানীয় একটি এনজিও-র সহযোগিতায় রাশিয়ান দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করা হচ্ছে।