নয়াদিল্লি, ১২ জুলাই : ভারতের গৌরবময় ইতিহাসে আরেকটি উজ্জ্বল অধ্যায় যুক্ত হলো। ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায় ‘ভারতের মারাঠা মিলিটারি ল্যান্ডস্কেপস’ বা ‘ভারতের মারাঠা সামরিক প্রাকৃতিক দৃশ্যপট’ অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী গভীর গর্ব ও আনন্দ প্রকাশ করেছেন।
এই অন্তর্ভুক্তিতে মোট ১২টি বীরত্বময় দুর্গ স্থান পেয়েছে, যার মধ্যে ১১টি অবস্থিত মহারাষ্ট্রে এবং একটি তামিলনাড়ুতে। এই দুর্গগুলি শুধুমাত্র স্থাপত্যিক দিক থেকে নয়, বরং ইতিহাস, সংস্কৃতি ও সামরিক কৌশলের দিক থেকেও অসামান্য গুরুত্ব বহন করে।
প্রধানমন্ত্রী এক্স -এ নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লেখেন, “প্রত্যেক ভারতীয় এই স্বীকৃতিতে গর্বিত। এই ‘মারাঠা মিলিটারি ল্যান্ডস্কেপ’-এ অন্তর্ভুক্ত ১২টি গৌরবময় দুর্গ ভারতের বীরত্বময় ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে। মহারাষ্ট্রের ১১টি ও তামিলনাড়ুর ১টি দুর্গ এই তালিকায় স্থান পেয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “যখন আমরা গৌরবময় মারাঠা সাম্রাজ্যের কথা বলি, তখন তা আমাদের মনে করিয়ে দেয় সুশাসন, সামরিক শক্তি, সাংস্কৃতিক গর্ব এবং সামাজিক কল্যাণের প্রতি গুরুত্বের কথা। মহান শাসকরা অন্যায়ের সামনে কখনও মাথা নত করেননি। তাঁদের আদর্শ আজও আমাদের প্রেরণা জোগায়।”
প্রধানমন্ত্রী সকল ভারতবাসীকে এই ঐতিহাসিক দুর্গগুলি পরিদর্শন করার আহ্বান জানান, যাতে সবাই মারাঠা সাম্রাজ্যের গৌরবময় ইতিহাস সম্পর্কে আরও জানতে পারেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজের ২০১৪ সালের রায়গড় দুর্গ পরিদর্শনের স্মৃতিচারণও করেন। তিনি একটি ছবি শেয়ার করেন, যেখানে তাঁকে ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ-কে শ্রদ্ধা জানাতে দেখা যায়। তিনি লেখেন, “২০১৪ সালে রায়গড় দুর্গ সফরের সময় ছত্রপতি শিবাজি মহারাজকে প্রণাম করার সৌভাগ্য হয়েছিল। এই স্মৃতি আমি চিরকাল লালন করব।”
এই স্বীকৃতিকে কেন্দ্র করে সারা দেশজুড়ে ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক মহলে ব্যাপক উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেছে। ভারতের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য, বীরত্ব, এবং স্থাপত্যশৈলীর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হিসাবে ইউনেস্কোর এই তালিকাভুক্তি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন ইতিহাসবিদ ও গবেষকরা।
এখন যখন এই দুর্গগুলি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃতি পেয়েছে, তখন আশা করা যায় দেশবাসী ও পর্যটকদের আগ্রহ বাড়বে এবং এই ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলির সংরক্ষণ ও গবেষণায় নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হবে।

