গুয়াহাটি, ১১ জুলাই : ভারতের টেলিযোগাযোগ দপ্তর (ডট) দেশজুড়ে ‘সঞ্চার মিত্র’ প্রকল্পের সম্প্রসারণে আজ গুয়াহাটির বিএসএনএল ভবনে এক ইন্টারেক্টিভ সেশনের আয়োজন করেছে। অসম এলএসএ-র উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এই সেশনে রাজ্যের আইআইটি, আইআইআইটি, এনআইটি সহ বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। মূল লক্ষ্য ছিল ছাত্র স্বেচ্ছাসেবকদের ‘ডিজিটাল অ্যাম্বাসাডর’ হিসেবে যুক্ত করে নাগরিক ও টেলিকম ইকোসিস্টেমের মধ্যে যোগাযোগের সেতুবন্ধন গড়ে তোলা।
সেশনের সভাপতিত্ব করেন দিল্লির ডিরেক্টর জেনারেল টেলিকমের উপদেষ্টা সুনীতা চন্দ্রা। অসম এলএসএ-র প্রধান ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক সুরেশ পুরী এবং ডট-এর ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (মিডিয়া) ও মুখপাত্র হেমেন্দ্র কুমার শর্মা প্রকল্পের উদ্দেশ্য ও কাঠামো নিয়ে বিশদ উপস্থাপনা দেন।
এদিন সুনীতা চন্দ্রা বলেন, ডট-এর বিভিন্ন উদ্যোগ, টেলিকম পরিষেবা ও নাগরিক-কেন্দ্রিক প্রচেষ্টার মধ্যে সেতুবন্ধন গড়ে তোলাই এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য। আমাদের ব্যবহারকারী, গ্রাহক ও সাধারণ মানুষের সুবিধার কথা ভেবেই এই উদ্যোগ। আমরা চেয়েছি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের তরুণ ছাত্রছাত্রীদের শক্তি ও সেবাকে কাজে লাগাতে।
সুরেশ পুরী ‘সঞ্চার মিত্র’ প্রকল্পের তিনটি স্তম্ভ ‘কানেক্ট, এডুকেট, ইনোভেট’-এর ওপর আলোকপাত করেন এবং বলেন, নিরাপদ, দায়িত্বশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক টেলিকম ব্যবহারে জনসচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
হেমেন্দ্র কুমার শর্মা বলেন, ডিজিটাল বিপ্লবে টেলিকম পরিষেবার ভূমিকা অপরিসীম। ভারত এখন শুধুমাত্র প্রযুক্তি গ্রাহক নয়, বরং বিভিন্ন আধুনিক টেলিকম পরিষেবা ও পণ্যের যোগানদাতা হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করছে। সাধারণ মানুষকে ডিজিটাল প্রতারণা থেকে রক্ষা করতে তৃণমূল স্তরে সচেতনতা জরুরি, এই প্রেক্ষাপটে ‘সঞ্চার মিত্র’দের ডিজিটাল অ্যাম্বাসাডর হিসেবে ভূমিকা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা আলোচনায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ব্যাপারে প্রবল উৎসাহ দেখান।
কেন্দ্রীয় যোগাযোগ ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য এম. সিন্ধিয়া সম্প্রতি ‘সঞ্চার মিত্র’ প্রকল্পের পুনর্গঠিত সংস্করণ চালু করেন। পাইলট প্রকল্প থেকে এটি এখন একটি শক্তিশালী, স্কেলেবল ও ইনসেনটিভ-ভিত্তিক জাতীয় আন্দোলনে রূপান্তরিত হয়েছে। ভারতের যুবশক্তি ছাত্র স্বেচ্ছাসেবকদের টেলিকম সচেতনতা, সাইবার সুরক্ষা ও ডিজিটাল ক্ষমতায়নের দূত হিসেবে গড়ে তোলাই এই প্রকল্পের লক্ষ্য। সিন্ধিয়া এই প্রকল্পকে ভারতের চারটি ‘ডি’ গণতন্ত্র, জনসংখ্যা, ডিজিটালাইজেশন ও ডেলিভারি—নেতৃত্বের প্রতীক বলে বর্ণনা করেন।
‘সঞ্চার মিত্র’ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ছাত্রসমাজ ডিজিটাল অ্যাম্বাসাডর হিসেবে টেলিকম সচেতনতা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা প্রচারে অগ্রণী ভূমিকা নেবে, এমনটাই প্রত্যাশা করছে টেলিযোগাযোগ দপ্তর।
—
Thanks & Regards
Sandeep Biswas

