আগরতলা, ৪ জুলাই : তুলসীবতী বালিকা বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে প্রাথমিক বিভাগের ছাত্রীদের শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ উঠল।
প্রসঙ্গত তুলসীবতী বালিকা বিদ্যালয়ে বুধবারে ছাত্রীদের জন্য আলাদা ড্রেসের নিয়ম রয়েছে। কিন্তু গত বুধবারে কিছু ছাত্রী ওইদিনের জন্য নির্ধারিত ড্রেস পরে না আসায় তাদের স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়। এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে ছাত্রীরা। এমনই অভিযোগ এনে আজ ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে দেখা করেন এবং এ ব্যাপারে একটি ডেপুটেশন দিয়েছেন।
তাঁরা অভিযোগ করেন, শুধুমাত্র ভুলবশত প্রাথমিক বিভাগের কিছু ছাত্রী বুধবারের নির্ধারিত ড্রেস পরে না আসায় শিশুর শিক্ষার অধিকার ও মানসিক নিরাপত্তাকে সরাসরি আঘাত করা হয়েছে। সেই দিন ভুলের জন্য ছাত্রীরা পাঠগ্রহণের সুযোগ হারায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাদের মন ও মনোবল।
অভিভাবকদের জোরালো সওয়াল, শিশুরা ভুল করলে তাকে শুধরে দেওয়ার দায়িত্ব শিক্ষকের, অপমান করার নয়। শিশুদের চোখে ভয় নয়, ভালোবাসা জাগানোই সত্যিকারের শিক্ষার পরিচয়। অভিভাবকদের আরও অভিযোগ, বিদ্যালয়ে শিক্ষক স্বল্পতার অজুহাতে প্রতিদিন ক্লাস হয় না। এই শিক্ষাবর্ষের প্রথম বুধবার ছিল সেদিন। ফলে বেশ কিছু ছাত্রী নির্ধারিত স্কুল ড্রেস জোগাড় করতে পারেনি। শিক্ষিকার নিকট অভিভাবকের তরফ থেকে বিষয়টি জানানো হলেও কচিকাঁচা ছাত্রীদের ওইদিন অপমানিত করে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। শিক্ষাঙ্গনে এ ধরনের ঘটনা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে অভিযোগ করেন অভিভাবকরা।
ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অতীতে অশুভনীয় আচরণ নিয়েও সংবাদমাধ্যমে একাধিক অভিযোগ বারবার প্রকাশিত হয়েছে বলে জানা গেছে। সুতরাং এটি নিছক একদিনের ঘটনা নয় এটি একটি চলমান অব্যবস্থার চিত্র, যা থামানো অত্যন্ত জরুরি। অভিভাবকরা জোরালোভাবে দাবি জানান, অবিলম্বে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করা হোক। প্রাথমিক বিভাগে যোগ্য, সহানুভূতিশীল ও দায়িত্ববান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়োগ নিশ্চিত করা হোক। বিদ্যালয়ে যেন আর কোনো শিশুকে এমন অন্যায় আচরণের শিকার না হতে হয়, তার জন্য নিয়মিত তদারকি ও অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখা হোক। এদিন তাঁরা প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্য একটি চিঠি তুলে দিয়েছেন।

