চড়িলাম, ৩০ জুন: শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চরম দায়িত্বজ্ঞানহীনতার এক নজিরবিহীন ঘটনা সামনে এল চড়িলাম বিদ্যালয় পরিদর্শকের অধীন বড়জলা পূর্ব পাড়া ওয়ার্ড নং ৩ জেবি স্কুলে। মাসের এক তারিখে বেতন পাওয়ার পরও শিক্ষকরা সময়মতো স্কুলে আসছেন না, যার ফলে কচিকাঁচা পড়ুয়ারাই স্কুলের তালা খুলতে বাধ্য হচ্ছে। খোদ সংবাদ প্রতিনিধি ঘটনাস্থলে গিয়ে এই অবাক করা দৃশ্য দেখেছেন।
সোমবার সকালে দেখা যায়, যখন স্কুলের গেটে ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য অপেক্ষা করছে, তখন তাদের বদলে স্কুলের তালা খুলতে এগিয়ে আসে কয়েকজন শিক্ষার্থী। অভিযোগ উঠেছে, স্কুলের ইনচার্জ মনিভূষণ সরকার নিয়মিত দেরিতে আসেন। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘বাবু’ গল্পের বাবুর মতো তিনি ‘হেলতে দুলতে’ অনেক দেরিতে স্কুলে পৌঁছান। স্থানীয়দের অভিযোগ, তার কাছে শিশুদের শিক্ষাদান নয়, বরং মিড ডে মিলের খাওয়া থেকে কমিশনই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
এই স্কুলে মোট তিনজন শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন। প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ২৪ জন শিক্ষার্থী এখানে পড়াশোনা করে। তবে, অন্য দুই শিক্ষকের গাফিলতির মধ্যেও একজন শিক্ষিকা, মমতা দেবনাথ, তার আন্তরিকতা ও সময়নিষ্ঠার জন্য গ্রামবাসীদের কাছে প্রশংসিত। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, মমতা দেবনাথ প্রতিদিন সময়মতো স্কুলে আসার চেষ্টা করেন।
সংবাদ প্রতিনিধির অনুসন্ধানে জানা গেছে, পাহাড়ি এলাকার বহু সরকারি স্কুলেরই একই দশা। শিক্ষানুরাগীরা দ্রুত এই ফাঁকিবাজ ইনচার্জ মনিভূষণ সরকার এবং অন্য অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে চড়িলাম বিদ্যালয় পরিদর্শককে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। শিক্ষকতার মতো একটি মহান পেশাকে কলঙ্কিত করা এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরি।
2025-06-30

