শব্দ ও ভাষা জ্ঞান নেই, এই অক্ষমতা নিয়েই রাজনৈতিক বাজার গরম করতে মাঠে নেমেছেন বিরোধী দলনেতা : রতন

আগরতলা, ১৭ জুন : শব্দ ও ভাষা জ্ঞান নেই। এই অক্ষমতা নিয়েই রাজনৈতিক বাজার গরম করতে মাঠে নেমেছেন বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী। তাঁকে অবিলম্বে মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা করার পরামর্শ দিয়েছেন কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ।

প্রসঙ্গত, গতকাল সাব্রুম মহকুমায় এক সভায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব, অসমেী মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এবং তিপরা মথার প্রাক্তন সুপ্রিমো তথা এমডিসি প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণকে নিয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছিলেন সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য তথা বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী। তিনি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শারিরীক গঠন নিয়ে অবান্তর মন্তব্য করেছেন। তিনি ওই সভায় তির্যক ভাষায় বলেন, যে যত লম্বা হয়, তত বেকুব হয়। এই মন্তব্যের জেরেই আজ সাংবাদিক সম্মেলনে বিরোধী দলনেতাকে একহাত নিলেন কৃষিমন্ত্রী রতন লাল নাথ।

তাঁর কথায়, শব্দকে প্রয়োগ করার আগে তাঁর অর্থকে বুঝে নেওয়া জরুরি। তা না হলে শব্দের দ্বারা মানুষকে আঘাত করা যায়। অবশ্য শব্দের গুরুত্ব বোঝার মতো মানসিকতা এবং বুদ্ধি সবার থাকে না। দূর্ভাগ্যের বিষয় সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য তথা বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরীরও শব্দকে বোঝার মতো মানসিকতা নেই। সাম্প্রতিক জনসম্মুখের বিভিন্ন ব্যক্তবের মধ্যে তাঁর ভাষা জ্ঞানের অক্ষমতাকে তুলে ধরেছেন।

এদিন তিনি বলেন, জিতেন্দ্র বাবুর মতে দৈহিক দিক দিয়ে যাদের উচ্চতা অনেক তাঁরা বেকুব এবং বুদ্ধিহীন। তাহলে, দেশে এবং দেশের বাইরে এমন অনেক কমিউনিস্ট নেতা রয়েছেন যাঁদের উচ্চতা সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব থেকেও অনেক বেশি। তাহলে তাঁরাও কি বুদ্ধিহীন, বলে প্রশ্ন করেন তিনি।

তাঁর অভিযোগ, তিনি সারা বিশ্বের দৈহিক দিক দিয়ে লম্বা ব্যক্তিদের অপমান করেছেন। তাহলে তিনি সিপিএমের প্রাক্তন পলিটব্যুরো সদস্য মানিক সরকারকেও অপমান করেছেন। আসলে তিনি একজন মস্তকহীন ব্যক্তি। তিনি যদি সুস্থ ব্যক্তি হয়ে থাকেন তাহলে অবিলম্বে অসমের মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব এমনকি তিপরা মথার কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিৎ, বলেন শ্রীনাথ।
যদি মানসিক রোগে আক্রান্ত হলে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা করা দরকার, পরামর্শ দিলেন মন্ত্রী রতন লাল নাথ ।