আন্তর্জাতিক যোগ দিবস ২০২৫-এর জন্য প্রস্তুত বিশাখাপত্তনম: উচ্চপর্যায়ের পরিদর্শন ও পর্যালোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত

বিশাখাপত্তনম, ১৫ জুন: আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের এক দশক পূর্তিকে স্মরণীয় করে তুলতে দেশজুড়ে চলছে জোর প্রস্তুতি। এবার ১১তম আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের জাতীয় আয়োজক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূল শহর বিশাখাপত্তনম। এই উপলক্ষে কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রক ও অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের শীর্ষ কর্তারা সম্প্রতি একটি উচ্চপর্যায়ের পরিদর্শন ও পর্যালোচনা সভা করেন।

মাঠ পর্যায়ে এই পরিদর্শনে নেতৃত্ব দেন আয়ুষ মন্ত্রকের সচিব বৈদ্য রাজেশ কোঠেচা এবং অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের স্পেশাল চিফ সেক্রেটারি কে. বিজয়ানন্দ। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন আয়ুষ মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব মোনালিসা দাশ, জেলা কালেক্টর এম. এন. হরেন্দ্র প্রসাদ, এবং স্বাস্থ্য, নগর পরিকল্পনা, আয়ুষ ও ভিএমআরডিএ-র বিভিন্ন বিভাগের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা।

পরিদর্শনের মূল কেন্দ্রস্থল ছিল আর কে বিচ, ঋষিকোন্ডা বিচ, অন্ধ্র বিশ্ববিদ্যালয় এবং গীতাম বিশ্ববিদ্যালয়—যেখানে মূল যোগ প্রদর্শনের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক, শিক্ষামূলক ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রিক নানা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। এ সব আয়োজন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘সবার কাছে যোগ’ আহ্বানকে বাস্তব রূপ দেওয়ার লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে।

পর্যালোচনা বৈঠকে বিভাগীয় সমন্বয়, অংশগ্রহণের রণনীতি, নিরাপত্তা পরিকল্পনা এবং সাংস্কৃতিক উপাদান অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়। শহরের পরিকাঠামো কতটা প্রস্তুত এবং জনসাধারণের অংশগ্রহণ কীভাবে নিশ্চিত করা যায়, তার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। সরকারের একাধিক বিভাগ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে বলেই জানান কর্মকর্তারা, যা প্রধানমন্ত্রীর সেই বার্তার প্রতিফলন—যোগ যেন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ঐক্যবদ্ধ করে জাতীয় কল্যাণে।

রাজ্যের সবচেয়ে উদ্যমী প্রকল্প হিসেবে উঠে এসেছে ‘যোগান্ধ্র’ উদ্যোগ। এই কর্মসূচির লক্ষ্য রাজ্যের দুই কোটিরও বেশি নাগরিককে দৈনন্দিন যোগাভ্যাসের সঙ্গে যুক্ত করা। এর আওতায় রাজ্যজুড়ে যোগ সচেতনতা অভিযান, স্কুল-কলেজে যোগ শিবির এবং ২০ লক্ষ প্রশিক্ষিত যোগ অনুশীলনকারী গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সারা রাজ্যে এক লক্ষ স্থানে আইডিওয়াই উদযাপনের পরিকল্পনা রয়েছে, যেখানে কেবল বিশাখাপত্তনমেই পাঁচ লক্ষের বেশি অংশগ্রহণকারী উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

আয়ুষ মন্ত্রক রাজ্য সরকারের সক্রিয় ভূমিকার প্রশংসা করে জানিয়েছে, অন্ধ্রপ্রদেশের ব্যাপক পরিকল্পনা ও তৃণমূল স্তরের সম্পৃক্ততা আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের অন্তর্নিহিত ভাবনাকে বাস্তবায়নের এক অনন্য উদাহরণ।

২১ জুন আসতে চলেছে এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত, যেখানে বিশাখাপত্তনম দেখাবে—কীভাবে যোগ হতে পারে স্বাস্থ্য, ঐক্য ও ভারতের বৈশ্বিক নেতৃত্বের প্রতীক।